BJP: ‘তৃণমূলত্যাগীরাই বেশি পাত্তা পাচ্ছেন’, সংগঠনে রদবদলে ‘পদত্যাগ’ BJP-র ১৬ মণ্ডল সভাপতির
BJP: প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলায় বিজেপির মধ্যে সাংগঠনিক রদবদলে দেখা গিয়েছে। তাতেই বেশ কিছু মণ্ডলকে একসঙ্গে জুড়ে একটি মণ্ডল করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই এলাকার রাজনৈতিক মহলে।
রায়গঞ্জ: যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে এসেছেন তাঁদের গুরুত্বই দলে বেশি। পাত্তা পাচ্ছেন না দলের পুরাতন সদস্যরা। এই নিয়ে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিলই। এই ইস্যুতে এবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল নব্য পুরাতন লড়াই। অস্বস্তি বাড়ছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির অন্দরে। একযোগে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ১৬ জন মণ্ডল সভাপতি। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ ঘটনায় চাপে জেলার পদ্ম শিবিরের নেতারা। চাপে জেলা বিজেপির নেতারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলায় বিজেপির মধ্যে সাংগঠনিক রদবদলে দেখা গিয়েছে। তাতেই বেশ কিছু মণ্ডলকে একসঙ্গে জুড়ে একটি মণ্ডল করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই এলাকার রাজনৈতিক মহলে। মণ্ডল জোড়ার ক্ষেত্রে আগের মণ্ডল সভাপতিদের পদত্যাগও করানো হয়েছে বলে খবর। তাঁদের পদত্যাগের পরেই নতুন নেতাদের নতুন মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতেই প্রকাশ্যে নব্য-পুরাতন দ্বন্দ্ব।
সম্প্রতি রদবদলের সময় তৈরি করা হয়েছে রায়গঞ্জ শহর মণ্ডল। এই রদবদলের সময়েই আগের উত্তর আর দক্ষিণ, দু’টি মণ্ডলকে জুড়ে রায়গঞ্জ শহর মণ্ডল করা হয়েছে। এরপরই দেখা গিয়েছে দুই মণ্ডলের সভাপতিই পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, পদত্যাগের কথা জেলা সভাপতিকে হোয়াটসঅ্য়াপের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। সেখানে যদিও পদত্যাগের কারণ হিসাবে নিজেদের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে। খানিক অভিমানের সুর শোনা গেল পদত্যাগী মণ্ডল সভাপতি আনন্দ ভৌমিকের গলায়। বলেন, “আমি তো রায়গঞ্জ মণ্ডল ১ এর মণ্ডল সভাপতি ছিলাম। এখন তো তৃণমূল থেকে যাঁরা নতুন বিজেপিতে আসছে তাঁদেরকে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। ওদের জায়গা দিতেই হয়তো পুরনো বিজেপি নেতাদের সরাতে বাধ্য হচ্ছে। হয়তো সে কারণেই আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি পদত্যাগ করিনি। কিন্তু, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।”
সূত্রের খবর, আরও বেশ কয়েকজন গ্রামীণ ও শহর মণ্ডল সভাপতিরা একই কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগীদের একাংশ বলছেন, তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল বলেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেন? পদত্যাগকারী বিজেপি নেতারা বলছেন, সদ্য তৃনমুল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন অনেক নেতা। তাঁদের জায়গা করে দিতেই জেলা নেতৃত্বের এই চাল। যদিও দলের জেলা সভাপতি অবশ্য এই পরিবর্তনে ভুল কিছু দেখছেন না। জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলছেন, পরিবর্তন মেনে নেওয়াটা রাজনীতির অঙ্গ। তবে অভিযোগকারীদের ক্ষোভ প্রশমনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী আবার খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে। তাঁর দাবি, বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীই তাঁদের দলে আসার জন্য মুখি রয়েছেন। যোগাযোগও করছেন।