Durga Puja in Winter: ডিসেম্বরের ভরা শীতেও দুর্গাপুজো! শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা কোথায় জানেন?
Winter Durga Puja: পৌষ মাসে একচালায় দেবী দুর্গা এসেছেন রায়গঞ্জের কালীতলা চত্বরের সাহাবাড়িতে। শারদীয়ায় নয়, প্রথা মেনে এই সময়েই হয় সাহাবাড়ির দুর্গাপুজো। দেবী দুর্গা এখানে পূজিতা হন কাত্যায়নী রূপে। কথায় বলে, বাঙালির বারো মাসে, তেরো পার্ব্বন। রায়গঞ্জের সাহাবাড়ির এই দুর্গাপুজো যেন সেই ছবিটাই তুলে ধরল।
রায়গঞ্জ: ডিসেম্বরেও দুর্গাপুজো। নাহ, কোনও গল্প কথা নয়। সত্যিই। ডিসেম্বরের ভরা শীতেও সপরিবারের মর্ত্যে এসেছেন দেবী দুর্গা। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক, গণেশ সবাই এসেছে সঙ্গে। সিংহবাহিনী দশভূজার সঙ্গে রয়েছে মহিষাসুরও। পৌষ মাসে একচালায় দেবী দুর্গা এসেছেন রায়গঞ্জের কালীতলা চত্বরের সাহাবাড়িতে। শারদীয়ায় নয়, প্রথা মেনে এই সময়েই হয় সাহাবাড়ির দুর্গাপুজো। দেবী দুর্গা এখানে পূজিতা হন কাত্যায়নী রূপে। কথায় বলে, বাঙালির বারো মাসে, তেরো পার্ব্বন। রায়গঞ্জের সাহাবাড়ির এই দুর্গাপুজো যেন সেই ছবিটাই তুলে ধরল।
সাহাবাড়ির সদস্যরা তো বটে, গ্রামের অন্যান্য মানুষজনও ভীষণভাবে অপেক্ষা করে থাকেন, এই পুজোর জন্য। লোকমুখে কথিত আছে, দেবী কাত্যায়নী খুব জাগ্রত। প্রায় দেড়শো বছরেরও পুরনো এই দুর্গাপুজো। সাহাবাড়ির পূর্ব পুরুষরা যখন ওপার বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশে থাকতেন, সেই সময় থেকে প্রথা মেনে এই পুজো হয়ে আসছে। পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠাভরে চলে দেবী কাত্যায়নীরূপী দশভূজার পুজো। বুধবার ছিল অষ্টমী। সন্ধিপুজোয় মান গাছের পাতা দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হয়। শুধু সাহাবাড়ির মহিলা সদস্যরাই নন, আশপাশের বাড়ির লোকেরাও হাত লাগান এই পুজোর কাজে।
সাহাবাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, এই পুজো তাঁদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে চলে আসছে। বাংলাদেশে থাকাকালীনই পুজো শুরু হয়েছিল। তাঁরা ছিলেন পরম বৈষ্ণব। সেই সময় থেকে বৈষ্ণব মতোই এই সাহাবাড়িতে দেবী কাত্যায়নীর পুজো হয়ে আসছে। অতীতের সব রীতি-রেওয়াজ মেনেই এখনও চলে দেবীর আরাধনা। পুজোর পাঁচ দিন আলোর রোশনাইয়ে ভরে যায় গোটা বাড়ি। সবাই যেমন শারদীয়ায় দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন, এই সাহাবাড়ির লোকেরা অপেক্ষায় থাকেন শীতকালের এই দুর্গাপুজোর জন্য।