Partha Chatterjee: ‘ওঁ আমার ছাত্র নয়’, পার্থর পিএইচডি কাণ্ডে নাম জড়াতেই সাফ জবাব উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়ের

Partha Chatterjee: যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থশাস্ত্র বিভাগের প্রধান ছিলেন।

Partha Chatterjee: 'ওঁ আমার ছাত্র নয়', পার্থর পিএইচডি কাণ্ডে নাম জড়াতেই সাফ জবাব উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়ের
পার্থর পিএইচকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 4:24 PM

উত্তর দিনাজপুর: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়ের। গ্রেফতারির পর থেকেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে মাত্র এক বছরেই একটিও ক্লাস না করে ‘ডক্টরেট’ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যয়া। সে সময় পার্থকে গাইড হিসেবে সাহায্য করেছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি। সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায় ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান। বিরোধীদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পিএইচডি-তে সুবিধা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছেন তাঁরা। আরও অভিযোগ ওঠে, মন্ত্রীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সুবাদে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন ডঃ অনিল ভুঁইমালি এবং বালুরঘাট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়।

এই সব অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থশাস্ত্র বিভাগের প্রধান ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ম মেনেই গবেষণাপত্র পেশ করেছেন ও পরীক্ষাও দিয়েছেন। তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা ঘরে পরীক্ষা দেননি। অন্যান্যরাও ছিলেন। তৎকালীন উপাচার্য, অন্যান্য আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বলে সঞ্চারী দাবি করেছেন।

বালুরঘাট বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হওয়া নিয়ে সঞ্চারী বলেন, “আমি কবে চ্যান্সেলর হয়েছি? ২০২১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে নিয়োগ করা হয়। আমি দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। দক্ষিণ দিনাজপুর ও আলিপুরদুয়ারে। তারপরই আমি সিলেক্টেড হই। গভর্নর নিজে টুইট করেছিলেন। আমি একমাত্র ভাইস চ্যান্সেলর, যাকে ফুল টার্ম চার বছর দেওয়া হয়েছে। আমি তো হেড অফ ডিপার্টমেন্ট ছিলাম। সেটা পরিচালনা করেছি। আমি ওঁর গাইডও ছিলাম না। ওঁ আমার ছাত্র নয়। আমাকে এ সব প্রশ্ন করবেন না। আমি এর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই।” উল্লেখ্য, পরবর্তীতে অনিল ভুঁইমালি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে যেতে সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে নব গঠিত বালুরঘাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। TV9 বাংলার তরফ থেকে অনিল ভুঁইমালির সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “এই ডিগ্রি জোর করে প্রভাব খাটিয়েই নিয়েছিলেন পার্থ। মানা হয়নি ইউজিসির নিয়ম। মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ডিগ্রি নিয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ পুরস্কার দেন দুই অধ্যাপককে।” অন্যদিকে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সবটাই বেনিয়ম। শিক্ষামন্ত্রী হয়েও শিক্ষার ন্যূনতম নিয়ম না মেনেই ডিগ্রি নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সবাই সবটাই জানেন। এসবেরও তদন্ত হোক।”