এবার রক্তে ভাসল খোদ পুলিশ, অভিযুক্তকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় পরপর চলল গুলি, পালাল বন্দি
Islampur: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। তাঁদের নাম নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য।
ইসলামপুর: রাজ্যে প্রতিনিয়ত গোলাগুলির খবর সামনে আসছে। ১২ দিনের ব্যবধানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল নেতার। আর এবার গুলিবিদ্ধ খোদ পুলিশ। বিচারাধীন বন্দিকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। রক্তাক্ত অবস্থায় দুই পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোদ পুলিশকে এভাবে আক্রান্ত হতে হলে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার রিপোর্ট চাইল নবান্ন।
এক বিচারাধীন বন্দিকে এদিন ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় গুলি চলে বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া কালিবাড়ির ঘটনা। একদল দুষ্কৃীতি দল পুলিশের গাড়ি ফলো করে এগোচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে, কারা গুলি চালাল, সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। তাঁদের নাম নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য। আর কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে। জাতীয় সড়কের ওপর কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল! হতবাক এলাকার বাসিন্দারা।
গত কয়েকদিনে রাজ্যে বারবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে রাজ্যে এত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে? গত বছরের নভেম্বর মাসে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। ভরসন্ধ্যায় তিনি যখন বাড়ির সামনে বসেছিলেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আর চলতি মাসে মালদহে খুন হন কাউন্সিলর দুলাল সরকার। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মালদহের আরও এক তৃণমূল নেতা খুন হন মঙ্গলবার, গুলিবিদ্ধ হন আরও দুজন। আর এবার গুলি লাগল খোদ পুলিশকর্মীর শরীরে।