Medical College: সোমের পর মঙ্গলেও! পিঠে চেপে হাসপাতালে আসছে একের পর এক রোগী, ‘দোষ’ খুঁজে পাচ্ছে না হাসপাতাল
Medical College: এদিনের ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। খবর পেতেই ছুটে যান ১০ তলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপরতলার আধিকারিকেরা। তড়িঘড়ি বের করা হয় ট্রলি, আনা হয় হুইল চেয়ার।
রায়গঞ্জ: হুইল চেয়ারের দেখা নেই, বাধ্য হয়ে স্বামীকে পিঠে চড়িয়ে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে গেলেন স্ত্রী। সোমবার রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে এই ছবি ধরা পড়তেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জেলার স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে। ফের প্রশ্ন উঠেছিল রোগী পরিষেবা নিয়ে। চাপানউতোরের মধ্যে মঙ্গলবারও বদলালো না ছবিটা। ফের অমানবিক দৃশ্য! ফের ট্রলি বা হুইল চেয়ার না পেয়ে আত্মীয়ের পিঠে চেপে হাসপাতালে এক রোগী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হতেই ফের শোরগোল। জানা যাচ্ছে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা মঙ্গলবাররেরই। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা।
এদিনের ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। খবর পেতেই ছুটে যান ১০ তলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপরতলার আধিকারিকেরা। তড়িঘড়ি বের করা হয় ট্রলি, আনা হয় হুইল চেয়ার। যদিও রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায়ের দাবি, ট্রলি বা হুইল চেয়ারের কোনও ঘাটতিই নেই হাসপাতালে।
সোমবারের ঘটনার পরেও একই দাবি করেছিলেন সুপার। স্পষ্ট বলেছিলেন, “হুইল চেয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণেই আছে। একটু অপেক্ষা করলে ঠিকই পাওয়া যায়। স্ট্রেচার, ট্রলি সবই রয়েছে।” কিন্তু, তারপরেও বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কী করে? কেন বারবার হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের? উঠছে প্রশ্ন।