Raiganj: অমিল হুইল চেয়ার! স্বামীকে পিঠে নিয়ে হাসপাতালে স্ত্রী, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরও এক করুণ ছবি
Raiganj: শুধু কি স্যালাইন? আরও বহু রয়েছে। এমন ছবি সামনে এল, যাতে আবারও বেআব্রু হয়ে গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অমিল হুইল চেয়ার। স্ত্রীর কাঁধে চেপে সিটি স্ক্যান করাতে গেলে স্বামী।
রায়গঞ্জ: তাঁরও বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। সেই মহিলা কাঁধে করে একজন প্রৌঢ়কে নিয়ে আসছেন হাসপাতালে। সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন। তাঁকে দেখে অবাক হয়ে যান অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। পরে জানা যায় তাঁদের আসল পরিচয়। আর কেনই বা পিঠে করে নিয়ে আসছেন তিনি! আর এই ছবিই প্রশ্ন তুলে দিল এক গুচ্ছ। শুধু কি স্যালাইন? আরও বহু রয়েছে। এমন ছবি সামনে এল, যাতে আবারও বেআব্রু হয়ে গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অমিল হুইল চেয়ার। স্ত্রীর কাঁধে চেপে সিটি স্ক্যান করাতে গেলে স্বামী। যদিও সুপারের বক্তব্য, হাসপাতালে হুইল চেয়ারের কোনও অভাব নেই। রোগীর অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
অসুস্থ ব্যক্তি পরিতোষ বর্মন বলেন, “কয়েকদিন আগে চাল থেকে পড়ে গিয়েছি। আমাকে বলল সিটি স্ক্যান করাতে হবে। আমার স্ত্রী পিঠে করে নিয়ে এল ডাক্তারের কাছে।” আর তাঁর স্ত্রী সবিতা বর্মন বললেন, “টোটো তো ওই অবস্থায় আসবে না। টোটোকে দূরে রাখতে বলল। কিন্তু ও তো হাঁটতেই পারছে না। বাধ্য হয়েই পিঠে করে নিয়ে এলাম।”
যদিও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “হুইল চেয়ার যথেষ্ট পরিমাণে আছে। একটু ধৈর্য্য করে অপেক্ষা করলে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। স্ট্রেচার, ট্রলি যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তবুও আমরা বিষয়টি দেখব।”
স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরও তিন। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সোমবার মুখ্যসচিবের ভর্ৎসনার শিকার হন স্বাস্থ্য়সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তাঁর ভূমিকায় অখুশি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।