মাঘের শীত লাগল না তার গায়ে। জঙ্গলে ফিরল মৈপীঠের খাঁচাবন্দি বাঘ। ঢুলিভাসানি জঙ্গলে ছাড়া হল ডোরা কাটাকে। রবিবার রাতে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়।
একটা দুরন্ত লাফ! যে লাফই বলে দিচ্ছে অনেক কথা। যেন ওই যে দূরে ঘর দেখা যাচ্ছে। এক ছুটে বাড়িতে। ঘরেই চলে গেল সুন্দরবনের রাজা!
কিশোরী মোহনপুর গ্রামের আজমলমারি ১১ নম্বর জঙ্গল থেকে ঠাকুরান নদী পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘটি। গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতর লুকোচুরি খেলছিল বনদফতরের কর্মীদের সঙ্গে।ফাঁদ পেতে অনেকবার চেষ্টা করেও বাঘটিকে ধরা যায়নি। অবশেষে রবিবার রাতে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়।
আজ ঢুলিভাসানির জঙ্গলে বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হল। কিন্তু কেন এভাবে ঘন ঘন লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ?
বাঘ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, "ফেন্সিং আছে বলেই গ্রাম ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে আলাদা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের কাজের জন্য জঙ্গলে ঢোকেন, মাছ কাঁকড়া ধরতে যান। তাতে সেই ফেন্সিং ছিড়ে যায়। আমি অনুরোধ করব এরকম কাজ যেন কেউ না করেন। তাতে আমাদেরই বিপদ।"
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অনিল মিস্ত্রি বলেন, "এপারে জঙ্গল, ওপারে জঙ্গল। খাবারের সন্ধানে ও পেরিয়ে আসবেই। যদি আসতে বাধা পায়, সেটা হল ফেন্সিং। কিন্তু এখানে ফেন্সিং অত্যন্ত দুর্বল। ফান্ডিং না থাকায় সেই ফেন্সিং করতে পারছে না ঠিকমতো ভাবে। স্বাভাবিকভাবেই ঢুকে পড়ছে।"