Road Accident: রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ল দুই ছাত্র, রক্তে ভাসছে রাস্তা! রাগে পুলিশের কিয়স্কে আগুন
Chopra: পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স।

উত্তর দিনাজপুর: সাইকেলে চেপে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল দুই কিশোর। আচমকাই পিছন থেকে একটি বেসরকারি বাস এসে ধাক্কা মারে (Road Accident)। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে দু’জন। এরপরই উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী স্থানীয় পুলিশ কিয়স্কেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার সোনাপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুরের (Islampur) দিকে যাচ্ছিল একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস। সে সময় সোনাপুর মোড়ে পুলিশের নাকা চেকিং চলছিল। অভিযোগ, এরপরই বেসরকারি বাসটি পথ বদলায়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট থাকায় বাসটি জাতীয় সড়কের উল্টো লেন দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযোগ, সেই সময় চোপড়ার সোনাপুর মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা স্কুল থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। আচমকাই উল্টো রাস্তা দিয়ে যাওয়া বাসটি এক পড়ুয়ার সাইকেলে ধাক্কা মারে। হুড়মুড়িয়ে রাস্তায় পড়ে সে। সেই সাইকেলে আরও এক ছাত্র ছিল। দু’জনই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। দুই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক স্কুল পড়ুয়ার কথায়, “আমাদের স্কুলেরই নীচু ক্লাসের দু’জন সাইকেলে আসছিল। আমরাও সঙ্গে সঙ্গেই সব ফিরছিলাম। সিভিক পুলিশরা এখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা নিচ্ছিল। পুরো রাস্তা জ্যাম। এর মধ্যেই একটা বাস একটি বাচ্চার সাইকেলে ধাক্কা মারে। সিভিকরা দাঁড়িয়েছিল। আমরা ছুটে আসার পরে ওরা এগিয়ে আসে। ছেলে দু’টোকে তাও তোলেনি। আমরাই তুলে একটা বাইকে বসাই। সিভিক পুলিশ ওই বাসের ড্রাইভারকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। বাসটার এদিক দিয়ে যাওয়ারই কথা নয়। আগে যাবে বলে উল্টোদিকে ঢুকেছে। বাচ্চা দু’টো বিন্নাবাড়িতে আমাদের বাড়ির কাছেই থাকে। ওরা তুতো ভাই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁদের দাবি, “পুলিশের ক্যাম্পের জন্যই এই ঘটনা ঘটে। কিছুই করে না ওরা। উল্টে টাকা চায় ড্রাইভারদের কাছে। সেই টাকা না দেওয়ার জন্য গতি বাড়িয়ে ছুটতে থাকে গাড়ি। এখানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আছে। কেউ জানে না সেগুলি কাজ করে নাকি শো পিস।”





