High Tide: জল ছাড়ছে ডিভিসি, আবার ভরা কোটালের চোখরাঙানি! সব ভেসে যাবে নাকি?
DVC: শনিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি। এর জেরে বেশ কিছু জায়গা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা যায় তাঁর গলায়।
দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হল। জল ছাড়ার পরিমাণ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে হাওড়া ও হুগলি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। মূলত দামোদর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা এলাকাবাসীর। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি। এর জেরে বেশ কিছু জায়গা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা যায় তাঁর গলায়।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যকে না জানিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ডিভিসি প্রচুর জল ছাড়ছে। আগামি ৫, ৬ তারিখ ভরা কটালের জন্য হুগলি, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, গোঘাট, খানাকুল, আমতা এলাকায় প্লাবিত করতে পারে। রাজ্য সরকার সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলছে।”
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিভিসি আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে। তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য বিপজ্জনক হবে বলেই আশঙ্কা রাজ্যের। এদিকে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির ফলে জল বাড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
আর দুই জলাধার থেকে জল ছাড়লে তা দুর্গাপুর ব্যারাজে এসে ঢোকে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারাজের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুর ব্যারাজে ২১১.৫ ফুট পর্যন্ত জলস্তর থাকার কথা। কিন্তু নদীর নিচে পলি জমে জলধারণ ক্ষমতা প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের সঙ্গে আসানসোল ও দুর্গাপুরের বৃষ্টির জল মেশে দামোদরে। এই দুই কারণে রাজ্য সেচ দফতর জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে বাধ্য হয়।
এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ৬৯,৮২৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারাজে জলের চাপ সামাল দিতে আরও বাড়বে জল ছাড়ার পরিমাণ। ৫, ৬ তারিখ বিশেষ করে সতর্ক থাকতে বলছে রাজ্য প্রশাসন।