Bangladesh: ‘আরেকটা গণবিপ্লব হবে যদি…’, চরম হুঁশিয়ারি সারজিসের, ইউনূসের গদিতে টান দিচ্ছে BNP-ও
Bangladesh Government: বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি চাপ দিলেও ইউনূস সরকার লাগাতার গরিমসি করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষভাগ বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। তার আগে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যদিও ইউনূসের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিএনপি।

ঢাকা: ঘরেই চাপের মুখে ইউনূস। একদিকে বিএনপি, অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, দুই দিক থেকে সাঁড়াশির চাপ দিচ্ছে তারা। ভোট নিয়ে গরিমসি করছে অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ এনেছেন বিএনপির মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির। এদিকে, ভোটের ময়দানে নামছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও নাগরিক কমিটিও। তারাও ফের গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
৫ অগস্ট পরে যেভাবে হাসিনা সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, তাতে প্রতক্ষ্য মদত ছিল বিএনপির। তাদের আশা ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশে দ্রুত নির্বাচন হবে এবং আওয়ামি লীগ লড়াইয়ের ময়দানে না থাকায়, তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু মহম্মদ ইউনূসের সরকার নির্বাচনের পথে পা-ই বাড়াচ্ছে না।
বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি চাপ দিলেও ইউনূস সরকার লাগাতার গরিমসি করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষভাগ বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। তার আগে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যদিও ইউনূসের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিএনপি।
অন্যদিকে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারাও রাজনীতিতে নামার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম। তারপরই ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করলে আরেকটা গণবিপ্লব হবে।” গণ অভ্যুত্থানের কারিগররাই আগামিদিনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রথম সারিতে থাকবে বলেই মনে করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে দল গঠনের বৈঠকেই ঘোষণা করেন সারজিস। চলতি মাসেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা করেন সারজিস। ফ্যাসিবাদী ছাড়া সকলের জায়গা থাকবে এই দলে, এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।





