Bangladesh: সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী-সহ ২৫ জনকে খুন! ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দোষীদের ছেড়ে দিল বাংলাদেশ আদালত
Bangladesh: বাংলাদেশ কি এবার অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায় অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে।
ঢাকা: বাংলাদেশ কি এবার অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায় অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিন ২১ অগস্ট ২০০৪। আওয়ামী লিগের সমাবেশে দুষ্কৃতীদের গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান সহ ২৫ জন নেতাকর্মীর। আহত হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা সহ শয়ে শয়ে মানুষ। সেদিন একটুর জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন হাসিনা।
এবার সেই মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ সব অপরাধীদের মুক্ত করল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। ১ ডিসেম্বর রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে এই রায় দিয়েছে। ‘সাক্ষীরা ঘটনার বর্ণনা করছেন। ২১ অগস্টে কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তা চার্জশিটে উল্লেখ করেননি তদন্তকারীরা। তাই এই মামলা খালাস করে দেওয়া হল।’- এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
২৩ অক্টোবর মামলাটির শুনানির জন্য বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জামিনের আপিল নিয়ে শুনানি শুরু হয়।
২০০৪ সালের ২১ অগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেয়। রায়ে বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ১৪ জন আবার হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতাকর্মী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম ও হুজির সাবেক আমির শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যান।
মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয়েছিল। কমবেশি বিভিন্ন মেয়াদে আরও ১১ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এই মামলা জঙ্গি হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নানেরও মৃত্যু দেওয়া হয়।
এরপরেই উঠছে প্রশ্ন! বাংলাদেশ কি তবে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো জঙ্গিরাজের আখড়া হয়ে উঠবে? কী ভাবে এই রকম নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বেকসুর খালাস করে দিতে পারে আদালত? তবে কি বাংলাদেশ আদালত, অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই চলছে? উঠছে নানা প্রশ্ন!
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই নানা অরাজকতার চিত্র ধরা পড়েছে পড়শি দেশে। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের উপর আক্রমণের ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি থেকে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের পতাকা নিয়েই প্রকাশ্য রাস্তায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। যার পড়েই বাড়ছে উদ্বেগ।