British woman: শিশুর গলায় চিৎকার করছে ‘স্বামী’, বিচ্ছেদ চান ‘ভূতের বউ’; কিন্তু…
British woman wants divorce from ghost husband: ২০২২ সালের হ্যালোইনের দিন এই ব্রিটিশ মহিলাই বিয়ে করেছিলেন এডুয়ার্ডো নামে এক ভূতকে। কিন্তু এখন বিচ্ছেদ চাইছেন, কেন জানেন?
লন্ডন: অতিলৌকিক কিছুতে বিশ্বাস করতেন না রকার ব্রোকার্ড। ২০২২ সালের হ্যালোইনের দিন এই ব্রিটিশ মহিলাই বিয়ে করেছিলেন এডুয়ার্ডো নামে এক ভূতকে। অন্তত, রকার তেমনই দাবি করেছিলেন। বিয়ের মাত্র ৫ মাস আগেই দুজনের ‘দেখা’ হয়েছিল। আর তারপরই, অতিলৌকিকতায় বিশ্বাস জন্মানো তো বটেই, এডুয়ার্ডোর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন পেশাদার গায়িকা রকার। কিন্তু, বিয়ের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর হয়নি তাঁর। তাঁর দাবি, এডুয়ার্ডো তাঁর জীবন নরক বানিয়ে ছেড়েছে। এখন তিনি ভূত বরের থেকে বিচ্ছেদ চাইছেন। কিন্তু ভূত তাঁর ঘাড় থেকে নামলে তো। এই অবস্থায় ঝাড়ফুঁক করার কথাও ভাবছেন রকার। তিনি বলেছেন, “আমি সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করতে চাই না, তবে মনে হয় ভূতের সঙ্গে বিয়েটা টিকবে না।”
রকারের মতে, আসলে বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের সম্পর্কে সমস্যা ছিল। দুজনের বোঝাপড়ায় ঘাটতি ছিল। তাঁদের বিয়েতে ওপেন ইনভিটেশন ছিল, অর্থাৎ ইচ্ছা করলে যে কেউ তাঁদের বিয়েতে আসতে পারতেন। জীবিতদের সঙ্গে সঙ্গে আমন্ত্রণ ছিল মৃতদের জন্য়ও। রকার জানিয়েছেন, মেরিলিন মনরো, এলভিস প্রেসলি, রাজা অষ্টম হেনরির মতো ‘মৃত সেলিব্রিটিরা’ তাঁদের বিয়েতে অতিথি হয়েছিলেন। বিয়ের দিন হলেও, এডুয়ার্ডো নাকি মেরিলিন মনরোর ‘হটনেস’ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। ওই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রকার।
View this post on Instagram
হানিমুনেও তাঁদের বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট ছিল। রকার জানিয়েছেন, ক্রমে খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছিল পরিস্থিতি। রকারের সঙ্গে কুস্তি করাটা এডুয়ার্ডোর কাছে অত্যন্ত রোমান্টিক ও সেক্সি বলে মনে হয়েছিল। রকার তার সঙ্গে আইসক্রিম ভাগ করে খেতে চেয়েছিলেন। এডুয়ার্ডো সেই আইসক্রিম তাঁর মুখে চুলে মাখিয়ে দিয়েছিল। তারপর তাঁকে উল্টে ফেলেছিল বালির উপর। ফলে আইসক্রিম-বালিতে মাখামাখি হয়ে গিয়েছিলেন রকার। ব্রিটিশ পেশাদার গায়িকাটির দাবি, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না তাঁর দিক থেকে। বারবার তিনি এডুয়ার্ডোকে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে ‘সিরিয়াস’ হতে বলেছিলেন। কিন্তু, এডুয়ার্ডো তাঁর কথা কানে নেয়নি।
View this post on Instagram
এরপরই, বাধ্য হয়ে এডুয়ার্ডোর সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রকার। কিন্তু, তাতেও মুক্তি পাননি। বরং, তাঁর জীবন আরও বিষিয়ে দিয়েছে এডুয়ার্ডো। রকার যেখানে যাচ্ছেন, তাঁর পিছু নিচ্ছে অশরীরী। সবসময় তাঁর পিছু নিচ্ছে। রাতে ঘুমের মধ্যে হানা দিচ্ছে। শিশুদের গলায় চিৎকার করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যই এখন রকার ঝাঁড়ফুঁক করার কথা ভাবছেন। এডুয়ার্ডো কি শেষ পর্যন্ত রকারকে মুক্তি দেবে, নাকি সে শুধুই রকারের মনের কল্পনা, এখনই সেই প্রশ্নের উত্তর জানার উপায় নেই।