করোনা জয় করে অর্থনীতিতে জোয়ার চিনে, ভারত সেই তলানিতেই

ভারত আর চিনের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে আকাশ পাতাল ফারাক। বিশ্বের সব দেশের থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে চিনের অর্থনীতি

করোনা জয় করে অর্থনীতিতে জোয়ার চিনে, ভারত সেই তলানিতেই
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 22, 2021 | 7:41 PM

বেজিং: করোনাকালে মার খেয়েছিল সারা বিশ্বের অর্থনীতি। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকার ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছিল রেকর্ড ধস। কিন্তু করোনা আবহেও নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে ড্রাগনের দেশ। ভারত (India) ও চিনের (China) অর্থনৈতিক পরিবর্তনের তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে আকাশ-পাতাল ফারাক। সেই ধারাই অব্যাহত থাকল চিনের চতূর্থ ত্রৈমাসিকেও। চতূর্থ বারে চিনের অর্থনীতি প্রসারিত হল ৬.৫ শতাংশ। যার জেরে এই অর্থবর্ষে সামগ্রিক অর্থনীতির বৃদ্ধি হল ২.৩ শতাংশ। যেখান থেকে এটা বোঝার কোনও উপায়ই নেই যে এই দেশটিই প্রথম করোনার ধাক্বা খেয়েছিল।

ভারতের সঙ্গে তুলনা:

করোনার ফলে একাধিক ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল ভারতে। লকডাউনের একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে রফতানি। শিল্প থেকে শুরু বিভিন্ন অসাংগঠনিক ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই ঝুলেছিল তালা। যার জেরে সংকুচিত হয় দেশের অর্থনীতি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ছিল মাইনাস ৭.৫ শতাংশ। কিন্তু ড্রাগনের সম্প্রসারণ হয়েছিল ৩.২ শতাংশ। তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও ৪.৯ শতাংশ বেড়েছে চিনের অর্থনীতি। কিন্তু আপাতত ভারতের অর্থনীতি সম্প্রসারণের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

সামগ্রিক অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির বড় সঙ্কোচনের আভাস দিচ্ছেন তাঁরা। চলতি অর্থবর্ষে চিনের অর্থনীতি বেড়েছে মোট ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস বলছে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে যথাক্রমে ৭.৫ শতাংশ ও ৭.৭ শতাংশ। অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আরও বড় সংকোচনের আশঙ্কাও করছেন। অর্থনীতিবিদ অরুণকুমার পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।

অলঙ্করণ- অভীক দেবনাথ

উঁচু-নীচুর কারণ:

করোনাকে কাবু করেছে চিন। করোনাকে আবহেই ব্যাপক রফতানির মাধ্যমে বাউন্স ব্যাক করেছে ড্রাগন। মাস্ক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রীর রফতানির মাধ্যমে উর্ধ্বগামী হয়েছে গ্রাফ। পরিসংখ্যান বলছে, করোনাকালে মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে ২২ হাজার ৪০০ কোটি মাস্ক রফতানি করেছে চিন। যার মাধ্যমে চিনের বাইরের প্রত্যেক দেশের সব নাগরিকের মাস্কের চাহিদা পূরণ করা যায়। চিনের শিল্পগত উৎপাদন গতবারের তুলনায় শেষ মাসে বেড়েছে প্রায় ৭.৩ শতাংশ। পরিস্থিতি এমনই ২০২৮ সালের আগেই চিনের অর্থনীতি আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে পৌঁছে যেতে পারে বলেও অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।