বুস্টার ডোজে মহামারী কমার বদলে বাড়তে পারে: WHO
WHO On Booster Dose: ডব্লিউএইচও-এর ডিরেক্টার জেনারেল টেড্রাস অ্যাডনাম গেবয়েইওস বলেছেন, 'করোনার বুস্টার ডোজে মহামারী কমার বদলে বাড়তে পারে। ভাইরাস আরও দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। ভাইরাসের মিউটিশনও যথেষ্ট বেশি হবে।
নিউইয়র্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা টিকার বুস্টার ডোজের (Booster Dose) ব্যবহার নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে বুস্টার ডোজের কারণে সারা বিশ্বে টিকার অভাব দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে গরীব দেশগুলিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে দারুণভাবে। প্রসঙ্গত আমেরিকা আর ইউরোপের বেশকিছু দেশে এই মুহূর্তে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বে এমন কিছু দেশও আছে যেখানে মানুষ এখনও পর্যন্ত টিকার একটি ডোজও পাননি। বেশিরভাগ দেশে করোনা টিকার প্রথম দুটি ডোজের ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও-এর ডিরেক্টার জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘ্রেবিয়াসিস বলেছেন, ‘করোনার বুস্টার ডোজে মহামারী কমার বদলে বাড়তে পারে। ভাইরাস আরও দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। ভাইরাসের মিউটিশনও যথেষ্ট বেশি হবে। টিকা সেই দেশগুলিরও পাওয়া উচিৎ যারা এখনও পর্যন্ত একটি ডোজও পায়নি।’ টেড্রাসের এই বয়ান সেই সময় সামনে এসেছে যখন যখন আমেরিকা ঘোষণা করেছে যে ১৬ বছরের বেশি বয়স্ক সকলেই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ইজরায়েল ঘোষণা করেছিল যে তারা ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেবে।
বাড়তে পারে বিপদ
টেড্রোস আরও বলেছেন, ‘বর্তমান ডেটা অনুযায়ী, করোনায় এমন মানুষের মৃত্যু বেশি হচ্ছে যারা টিকার একটিও ডোজ নেননি। কোনও দেশই বুস্টার ডোজে করোনা শেষ করতে পারবে না।’ ২২ ডিসেম্বর জারি কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজের ব্যপালে নিজের অন্তরিম বয়ানে ডব্লিউএইচও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, টিকাকরণের প্রধান লক্ষ্য এই রোগ থেকে মৃত্যুর হার কম করা আর মানুষকে রোগের গুরুতর প্রভাব থেকে বাঁচানো। বিশেষ করে ওমিক্রন আসার পর এটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
টিকার অভাব
সংযুক্ত রাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী, পৌঁছনো আর বিতরণের বাধার কারণে টিকা সরবরাহে অভাব দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় এটা জরুরী যে দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছোয়নি অন্য দেশগুলির তাদের সাহায্য করা উচিৎ। জনস্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা করা অনুমানে জানা গিয়েছে শুধুমাত্র ২০২২ এর দ্বিতীয় ষন্মাসিকে বিশ্বের সমস্ত বয়স্ক মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা থাকবে। ডব্লিউ এইচওর অনুমান, তাদের সদস্য দেশগুলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত নিজেদের কম সে কম ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার টিকাকরণ করে ফেলবে।