Turkey-Syria Earthquake: ‘যন্ত্র যেখানে হেরে যায়, জিতে ফেরে রোমিও-জুলি’, ৬ বছরের শিশু উদ্ধারের পিছনে তাদের কৃতিত্ব কতটা?
Turkey-Syria Earthquake: ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার করেছে ভারতের এনডিআরএফ টিম। এই কাজে সহায়তা করেছে রোমিও-জুলিও।
তুরস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় (Turkey-Syria Earthquake) উদ্ধারকাজে ত্রাণ সামগ্রী, NDRF-র টিম ও বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডগ স্কোয়্যাড পাঠিয়েছে ভারত। সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ভারতীয়রাও। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে কংক্রিটের চাঁই সরিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৬ বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করেছে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই ভূমিকম্পে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তুরস্ক। সেখানে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য ভারত তিনটি NDRF-র টিম পাঠিয়েছে।
একটি টুইটে NDRF জানিয়েছে, তুরস্কের বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা দলের সঙ্গে যৌথ অপারেশনে NDRF-র দল সফলভাবে একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে। সেই শিশুর নাম বেরেন। তাঁর উদ্ধারের ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে NDRF। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, NDRF নিয়ে তিনি গর্বিত। টুইটে তিনি লিখেছেন, “তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে টিম আইএনডি-১১ গাজিয়ানটেপ শহরে বেরেন নামে ছয় বছরের একটি মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় আমরা এনডিআরএফ-কে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীতে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
Proud of our NDRF.
In the rescue operations in Türkiye, Team IND-11 saved the life of a six-year-old girl, Beren, in Gaziantep city.
Under the guidance of PM @narendramodi, we are committed to making @NDRFHQ the world’s leading disaster response force. #OperationDost pic.twitter.com/NfvGZB24uK
— Amit Shah (@AmitShah) February 9, 2023
আর এই বেরেনকে উদ্ধারের পিছনে অনেকটাই অবদান রয়েছে ভারতের ডগ স্কোয়্যাডের। এই ডগ স্কোয়্যাডের সদস্যরা হলেন রোমিও, জুলি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেখানে যন্ত্র বিফল হয়েছে সেখানে রোমিও ও জুলি হাসতে হাসতে জিতে ফিরেছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে বেরেনের উপস্থিতির খোঁজ দিয়েছিল এই রোমিও ও জুলিই। এএনআই-কে কুকুরদের পরিচালক কনস্টেবল কুন্দন বলেছেন, “আমরা জুলিকে ধ্বংসস্তূপের ভিতরে যাওয়ার জন্য বলি। সে ভিতরে গিয়েই চিৎকার করতে শুরু করে। তার থেকেই বোঝা যায় সে কাউকে ওখানে খুঁজে পেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পুনরায় নিশ্চিত করার জন্য আমরা রোমিওকে ভিতরে পাঠাই। সেও ভিতরে গিয়ে চিৎকার করে জানান দেয় ভিতরে ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও কেউ জীবিত রয়েছে।” তারপরই এনডিআরএফ টিমের সদস্যরা গিয়ে বেরেনকে উদ্ধার করে আনে। তাই এই উদ্ধার অভিযানে রোমিও, জুলির কৃতিত্ব সত্যিই প্রশংসনীয়।