Imran Khan: জেলই এখন ঠিকানা! দুর্নীতি-কাণ্ডে বড় সাজা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী-র
Imran Khan: আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় সাজা ঘোষণা ঘিরে লাগাতর বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের বুকে। গত বছর ডিসেম্বরে শুনানি শেষ হলেও সাজা ঘোষণা ঘিরে তারিখ নির্ধারণে সমস্যায় পড়েছিল ইসলামাবাদের এই দুর্নীতি দমন আদালত।
রাওয়ালপিণ্ডি: পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল সেদেশের আদালত। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা হল ইমরান খানের। একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিও। মিলেছে সাত বছর কারাদণ্ডের সাজা।
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় সাজা ঘোষণা ঘিরে লাগাতর বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের বুকে। গত বছর ডিসেম্বরে শুনানি শেষ হলেও সাজা ঘোষণা ঘিরে তারিখ নির্ধারণে সমস্যায় পড়েছিল ইসলামাবাদের এই দুর্নীতি দমন আদালত। শেষবারও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ইমরান খানের স্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে সাজা ঘোষণায় স্থগিতাদেশ পড়ে। তবে আপাতত সংকটমোচন আদালতের। দুর্নীতি-কাণ্ডে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করল আদালত।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে এই মামলাতেই জামিন নিতে গিয়ে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। পরবর্তীতে সেই গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছিলেন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল। সেই সূত্র ধরে লাহোর হাইকোর্টেও জামিন মঞ্জুর হয়েছিল ইমরানের। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহের একাধিক মামলায় ফেঁসে থাকার দরুণ জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। এবার আরও শিরে সংক্রান্তি ইমরানের। দুর্নীতি কাণ্ডে মিলল ১৪ বছরের কারাবাসের সাজা।
কী অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে?
আল-কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে। প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতি-কাণ্ডে ইতিমধ্যে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন খান দম্পতি। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতক একর জমিও দখলের অভিযোগ ওঠে এই ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি বুশরা বিবির বিরুদ্ধে। এরপর ২০২৩ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে আসরে নামে পাক তদন্তকারী সংস্থা ন্যাব। ইমরানের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও।