Vladimir Putin Military Mobilisation : ‘ভয় পেয়েছে রাশিয়া’, দাবি আমেরিকার, পুতিনের দেশকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা বাইডেনের

Vladimir Putin Military Mobilisation : সেনার গতিবিধির কথা ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বার্তা দিয়েছে।

Vladimir Putin Military Mobilisation : 'ভয় পেয়েছে রাশিয়া', দাবি আমেরিকার, পুতিনের দেশকে 'নির্লজ্জ' আখ্যা বাইডেনের
রাষ্ট্র সঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন বাইডেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 12:34 AM

কিয়েভ : সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে থিতু হয়েছে যুদ্ধের তেজ। এদিকে সম্প্রতি ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গা থেকে পিছু হটেছে রুশ বাহিনী। এই আবহে বুধবার রাশিয়ায় সেনার গতিবিধি বাড়ানো হবে বলে এক ভাষণে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সেনা বাড়ানোর প্রক্রিয়া বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেনার গতিবিধি বাড়ানোর পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পুতিন। তবে তাঁর এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ।

বুধবার ইউক্রেনে মার্কিন দূত জানিয়েছেন, পুতিনের এই নির্দেশ দুর্বলতার চিহ্ন। টুইট করে ব্রিজেট ব্রিঙ্ক জানিয়েছেন, ‘শ্যাম রেফেরেন্দা ও গতিবিধি রাশিয়ার ব্যর্থতা ও দুর্বলতার প্রতীক।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে নিজের অধিভুক্ত করা নিয়ে রাশিয়ার দাবিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনওদিন মান্যতা দেবে না। আমরা ইউক্রেনের পাশেই থাকব।’ এদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর গতিবিধির পাশাপাশি পুতিন পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। পুতিন এদিন বলেছেন, পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়। এর পাল্টা পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার ভাণ্ডারের সব অস্ত্র দিয়ে পুতিন নিজের ভূখণ্ড ও দেশবাসীকে রক্ষা করবেন।

পুতিনের এই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে ব্রিটিশের বিদেশমন্ত্রী গিলিয়ান কিগান বলেছেন, ‘স্পষ্টত আমাদের এই বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত…আমরা কোনও নিয়ন্ত্রণে নেই- আমি নিশ্চিত নই তিনি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছেন কি না। অবশ্যই তাঁর এই মন্তব্যে উত্তেজনা বাড়ছে।’ এদিকে পুতিনের সেনার এই গতিবিধি বাড়ানোর ঘোষণার পর তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণের সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার নেতা প্রতিবেশী ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়মাবলী নির্লজ্জভাবে লঙ্ঘন করেছে। তিনি এদিন বলেন, ‘নিউক্লিয়ার যুদ্ধ জেতা যাবে না এবং এই যুদ্ধ হওয়া উচিতও নয়।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা একটি উদ্বেগজনক ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি। রাশিয়া অবিবেচকের মতো নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘তবে কঠোর অস্ত্র বিধি কার্যকর করতে আমেরিকাও প্রস্তুত রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, পুতিনের এই ঘোষণায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরও একটি বিধ্বংসী যুদ্ধের ইঙ্গিত মিলেছে। যার ফলে বিশ্বের একাধিক দেশ তাঁর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং নিন্দাও প্রকাশ করেছে।