করোনার ভ্যাকসিন পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হবে না তো? প্রকাশ্যে এল গবেষণার রিপোর্ট

এরকমই বিভিন্ন আশঙ্কায় ভ্যাকসিন (Vaccine) নিতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই প্রতিনিয়ত এই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।

করোনার ভ্যাকসিন পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হবে না তো? প্রকাশ্যে এল গবেষণার রিপোর্ট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 18, 2021 | 5:05 PM

ওয়াশিংটন: করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব আগে থেকে থাকলেও কোভিড -১৯ (Covid 19) এই দুনিয়ায় একেবারে নতুন। তাই তার ভ্যাকসিনও নতুন। ভ্যাকসিন (Vaccine) নিলে শরীরে বাহ্যিক বা আভ্যন্তরীণ কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সেই দ্বিধায় ভুগছেন অনেকেই। কেউ কেউ ভ্যাকসিন নিতেও ভরসা পাচ্ছেন না। পুরুষের শুক্রাণুতে ভ্যাকসিনের কোনও প্রভাব পড়ে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই গবেষণা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি সেই গবেষণা থেকে উঠে আসা তথ্যে জানা গিয়েছে, শুক্রাণুর ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কোনও প্রভাব পড়ে না। ভ্যাকসিনের জন্য বন্ধ্যাত্বের কোনও সম্ভাবনাও নেই। বেশ কয়েকজনের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

আমেরিকার মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই বিষয়ে গবেষণা করেন। শুক্রবার জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা জেএএমএ এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। মোট ৪৫ জন পুরুষকে বেছে নিয়ে পরীক্ষাটি চালানো হয়। করোনা টিকা দেওয়ার আগে ও পরে তাদের শুক্রাণুর সংখ্যার মূল্যায়ন করা হয়। এদের মধ্যে ২১ জনকে দেওয়া হয়েছিল ফাইজারের করোনা টিকা ও বাকি ২৪ জনকে দেওয়া হয়েছিল মডার্না সংস্থার করোনা টিকা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ওই ব্যক্তিদের গড় শুক্রাণুর ঘনত্ব ছিল প্রতি মিলিলিটারে ২ কোটি ৬০ লক্ষ। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পড়ার পর, শুক্রাণুর ঘনত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় ও হিসেব করে দেখা যায় প্রতি মিলিলিটারে ৩ কোটি। অর্থাৎ সেই ‘কাউন্ট’ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই দাবি করেছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ না করলে হামলা করতে পারে মিউকরমাইকোসিস! কতটা যুক্তিযুক্ত?

গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, এই টিকাগুলিতে এমআরএনএ থাকে, লাইভ ভাইরাস থাকে না। তাই করোনার টিকা শুক্রাণুকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই। এমনকী, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্র্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড বা রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুটনিক ভি, অর্থাৎ যেগুলি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর টিকার ডোজে যে অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়, সেটিও যাতে প্রতিলিপি তৈরি না করতে পারে এমনভাবে পরিবর্তিত করা হয়। সুতরাং কোনও ভ্যাকসিনই বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠবে না বলে দবি বিজ্ঞানীদের।