Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধের ইঙ্গিত না কূটনীতি? রাশিয়ার স্বার্থ নিয়ে কোনও ‘আপোস নয়’ সাফ জানালেন পুতিন
Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়িয়ে গতকালই ইউক্রেনের বিদ্রোহী দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিল মস্কো। ইউক্রেনের ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ক দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল
মস্কো: রাশিয়া- ইউক্রেন সংঘাত (Russia- Ukraine Conflict) নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। আমেরিকা, ব্রিটেনের মত বড় শক্তিগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও চিনের সমর্থন রাশিয়ার দিকেই ছিল। ইউক্রেন সীমান্তে (Ukraine Border) সেনা মোতায়েনের পর রাশিয়া যেকোনও সময়ে আগ্রাসী হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। অনেকেই মনে করছিল প্রতিবেশি দুই দেশের সংঘাত ঘিরে আবার হয়ত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী থাকতে পারে গোটা বিশ্ব। আগ্রাসী অবস্থান থেকে খানিকটা পিছনে সরে এসে কূটনীতিকে হাতিয়ার করার পক্ষে সম্ভবত সায় দিয়েছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়িয়ে গতকালই ইউক্রেনের বিদ্রোহী দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিল মস্কো। ইউক্রেনের ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ক দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল, তাই মঙ্গলবারই সেই অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতেও সই করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই আজ আরও একবার তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। বুধবার ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া কোনও ধরনের ‘কূটনৈতিক সমাধান’-র পক্ষে, তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে রাশিয়ার ‘স্বার্থ’ বিঘ্নিত করে কোনও পদক্ষেপের পথে আগ্রহী নয় মস্কো। ডিফেন্ডার ফাদারল্যান্ড ডে উপলক্ষে আজ রাশিয়াতে সরকারি ছুটি। এইদিনই এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, “আমাদের দেশ সবসময়ই সরাসরি ও সৎ আলোচনায় বিশ্বাসী এবং যেকোনও ধরনের জটিল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধান করতে আমরা আগ্রহী। তবে আমাদের দেশের স্বার্থ, জনসাধারণের সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার, রাশিয়ান সংসদের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল স্বাধীন করা ঘোষণা করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। শান্তিরক্ষার জন্য রাশিয়া ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ক নামের দুটি অঞ্চলকে এখন স্বাধীন হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসা এই দুটি অঞ্চলকে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্নভাবে সাহায্য করে আসছিল রাশিয়া। রাশিয়ার নিরাপত্তা পর্ষদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের পর ওই দুটি অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব নিয়ে চুক্তি সই করা হয়েছিল। আজকের ভিডিয়ো বার্তায় রাশিয়ান সেনা বাহিনীর প্রশংসা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। দেশের যেকোনও ধরনের সমস্যায় সেনাবাহিনী পাশে থাকে সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও হাইপারসনিক মিসাইল তৈরিতে আরও বেশি করে জোর দেবে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: Nawab Malik: মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশন’? সকালে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল ইডি