অদ্ভুত রকমের সর্পিল গড়ন, একগুচ্ছ শুঁড়, চোখটা যেন…’মৃত্যুর মাছ’ ভেসে এল সমুদ্রপাড়ে! এবার কী হবে?
Doomsday Fish: বিশ্বাস, কিছু কিছু প্রাণীর দেখা মেলার অর্থ হল অন্তিম দিন ঘনিয়ে এসেছে। এবার সেই আতঙ্কই ছড়িয়ে পড়ল, কারণ সমুদ্র থেকে ভেসে এল 'ডুমসডে ফিশ'। গভীর সমুদ্রের এই মাছের দেখা মেলা ভয়ঙ্কর বিপদের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। ২০১১ সালে জাপানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের আগেও এই মাছের দেখা মিলেছিল।
ওয়াশিংটন: কথায় আছে, প্রলয় বা বিপর্যয়ের টের আগেই পেয়ে যায় পশু-পাখিরা। সেই অনুযায়ী তারা সতর্কবার্তাও দেয়। অনেকের আবার বিশ্বাস, কিছু কিছু প্রাণীর দেখা মেলার অর্থ হল অন্তিম দিন ঘনিয়ে এসেছে। এবার সেই আতঙ্কই ছড়িয়ে পড়ল, কারণ সমুদ্র থেকে ভেসে এল ‘ডুমসডে ফিশ’। গভীর সমুদ্রের এই মাছের দেখা মেলা ভয়ঙ্কর বিপদের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। ২০১১ সালে জাপানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের আগেও এই মাছের দেখা মিলেছিল।
ডুমস ডে হল পৃথিবীর শেষ দিন। যেই দিন সব ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেই সময় এমন সব ভয়ঙ্কর প্রাণীর দেখা মিলবে, যার অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে থাকলেও, কেউ কখনও দেখেননি। সমুদ্রে গভীর অতলে থাকা এই মাছের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে কেন এমন নাম। ডুমস ডে ফিশ সহজে দেখা যায় না। যখন দেখা যায়, তা বিপদের ইঙ্গিত বলেই মনে করেন অনেকে।
সম্প্রতিই ক্যালিফোর্নিয়ার গ্রান্ডভিউ সমুদ্র সৈকতেই ভেসে এসেছে ডুমসডে ফিশ। স্ক্রিপস ইন্সটিটিউশন অব ওসানোগ্রাফির ডক্টরেট পড়ুয়া অ্যালিসন লাফেরিরে যখন তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটছিলেন, সেই সময়ই তিনি এই মাছ দেখতে পান। দেখা মাত্রই বিরল প্রজাতির এই মাছটিকে চিনতে পারেন তিনি।
Look what decided to make another appearance! 🌊 Last week, another #oarfish washed up on Grandview Beach in Encinitas and was spotted by Scripps Oceanography PhD candidate Alison Laferriere. This cool creature measures roughly 9 to 10 feet long. pic.twitter.com/gJjc9BBLwc
— Scripps Institution of Oceanography (@Scripps_Ocean) November 13, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভয়ঙ্কর আকৃতির মাছের ছবি পোস্ট করে অ্যালিসন বলেন, “যখন সবাই ভেবেছিল যে ওর ফিশের হাইপ শেষ হয়ে গিয়েছে, দেখুন কে দেখা দিল…”।
জানা গিয়েছে, এর আগে গত অগস্ট মাসে লা জোল্লা সমুদ্র সৈকতেও ভেসে এসেছিল এই মাছ। তার আয়তন ছিল ৯-১০ ফুট। এই মাছটি সেই তুলনায় একটু ছোট। বিজ্ঞানীরা ওই মাছের নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং আরও গবেষণার জন্য স্পেসিমেনটিকে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সমুদ্রের অন্দরে কোনও পরিবর্তন বা এল নিনোর মতো প্রাকৃতিক অভিশাপের কারণেই এই মাছগুলি সমুদ্রের তটে ভেসে আসছে বলে অনুমান গবেষকদের।