Russia and Ukraine Sign Agreement : যুদ্ধের মাঝেই কাছাকাছি জ়েলেনস্কি-পুতিন! খাদ্য সঙ্কট মেটাতে চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়া-ইউক্রেনের

Russia and Ukraine Sign Agreement : যুদ্ধের মাঝেই গম সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করল রাশিয়া ও ইউক্রেন। গতকাল ইস্তানবুলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনেরাল ও টার্কির প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

Russia and Ukraine Sign Agreement : যুদ্ধের মাঝেই কাছাকাছি জ়েলেনস্কি-পুতিন! খাদ্য সঙ্কট মেটাতে চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়া-ইউক্রেনের
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2022 | 12:49 PM

ইস্তানবুল : গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। তারপর মিসাইল হানা। রক্তারক্তি, ধ্বংসের খেলা চলছেই। পাশাপাশি চলছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ইউক্রেনের শহরগুলির দখল। যুদ্ধের পাঁচ মাসে পৌঁছে একাধিকবার টেবিলে মুখোমুখি হয়েছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এই যুদ্ধ নিয়ে সমাধান সূত্রে পৌঁছোয়নি দুই তরফের কেউই। তবে এবার দুই তরফেই মিলিত হল এক চুক্তিতে। তবে তা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি নয়। বিশ্বে খাদ্যের চাহিদা কমাতে শুক্রবার দুই পক্ষই সহমত হয়েছেন। গতকাল ইস্তানবুলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তনিও গুতেরাস ও টার্কির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগানের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখা গিয়েছিল। বিশ্বে গম রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের রফতানি আটকে দিয়েছিল। এছাড়াও রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে আটকাতে কিয়েভের পোঁতা ল্য়ান্ডমাইনের কারণেও গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের রফতানিতে ইতি পড়েছিল। ফলস্বরূপ বিশ্বে দাম বেড়েছিল খাদ্যশস্যের। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে মোট ৪.৭০ কোটি মানুষের উপর প্রভাব পড়েছিল। তবে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির ফলে বিশ্বে খাদ্যশস্যের পরিস্থিতির হাল কিছুটা ফিরতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সঙ্কটের পরিস্থিতিতে ইতি টানতে গতকাল ইস্তানবুলের ডলম্য়াবাহাচে প্য়ালেসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তনিও গুতেরাস ও টার্কির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগান চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই চুক্তিতে মূল মধ্যস্থতাকারী এর্দোগান জানিয়েছেন, যে তাঁর আশা এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তির পথ পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে দুই দেশ এই খাদ্য সরবরাহের চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাঁরা এক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে নারাজ। একই বিষয়ের দুটি ভিন্ন চুক্তিপত্রে সই করেছে এই দুই শত্রু রাষ্ট্র। এদিকে ইউক্রেনের তরফে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারিও। খাদ্য সরবরাহের সময় চুক্তি ভেঙে ইউক্রেনের জাহাজ বা বন্দরে যদি রাশিয়া হামলা করে, তাহলে ইউক্রেনও হাত গুটি বসে থাকবে না। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেবে ইউক্রেন। এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্টসঙ্ঘের উপর বর্তায়।

উল্লেখ্য, এই চুক্তি মোতাবেক কৃষ্ণ সাগরে সেফ করিডরের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ২ কোটি টন গম রফতানি করা হবে। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলি এই চুক্তির প্রশংসা করেছে। এবং রাশিয়ার কাছে এই চুক্তি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে। ইউকরোপীয় ইউনিয়ন এই চুক্তির বাস্তবায়নের আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের তরফে খাদ্যশস্যের এই রফতানিতে বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কমতে পারে গমের দামও।