Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Deadly Virus: প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে গবেষেণা চলছে চিনে! আবার হতে পারে অতিমারি?

কোভিড অতিমারির জন্য দায়ী SARS-CoV-2 ভাইরাস। চিনেই প্রথম এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল।। চিনের গবেষণাগার থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে তদন্তও শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও সেই অভিযোগ কখনই স্বীকার করেনি চিন। এ নিয়ে যখন দ্বন্দ্ব অব্যাহত, তখনই ফের নতুন ভাইরাস নিয়ে চিনে গবেষণার অভিযোগ উঠল।

Deadly Virus: প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে গবেষেণা চলছে চিনে! আবার হতে পারে অতিমারি?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 18, 2024 | 9:00 AM

বেজিং: ফের মারণ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে চিন। সম্প্রতি এই তথ্য উঠে এল bioRxiv এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের নাম ‘GX_P2V’ হিসাবে উল্লেখিত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ইঁদুরে নিশ্চিত মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওজন কমে যাচ্ছে, দুর্বল হয়ে পড়ছে, চোখের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার আট দিনের মধ্যে মৃত্যু হচ্ছে। এই ভাইরাসের কবলে পড়ে এত দ্রুত মৃত্যু হতবাক করেছে বিজ্ঞানীদেরও।

কোভিড অতিমারির জন্য দায়ী SARS-CoV-2 ভাইরাস। চিনেই প্রথম এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল।। চিনের গবেষণাগার থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে তদন্তও শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও সেই অভিযোগ কখনই স্বীকার করেনি চিন। এ নিয়ে যখন দ্বন্দ্ব অব্যাহত, তখনই ফের নতুন ভাইরাস নিয়ে চিনে গবেষণার অভিযোগ উঠল।

ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই ভাইরাস ইঁদুরের শরীরের ফুসফুস, হাড়, চোখ, মস্তিষ্ককে সংক্রমিত করছে। এর মধ্যে মস্তিষ্কে সংক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, তা প্রাণ কাড়ছে। বেজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল টেকনোলজিতে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে তার অনেক মিল রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

গবেষণাদলের রিপোর্ট নাকি বলছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১০০ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে সব মৃত্যুর ইঁদুরের মধ্যে। মানুষের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কী, সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। ব্রিটেনের এক মহামারি বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসাবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক ভাবে ভিত্তিহীন বলে অভিহিতও করেছেন তিনি। তাহলে চিনের এই গবেষণা কী কোভিডের মতো ভয়াবহ অতিমারি ডেকে আনবে পৃথিবীর বুকে? তার পরিণাম কী আরও ভয়াবহ হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গবেষক মহলে।