Russia-Ukraine Conflict: খুলে গেল আলোচনার পথ? ইউক্রেন নিয়ে কিসের ইঙ্গিত দিলেন পুতিন
Russia-Ukraine Conflict: প্রসঙ্গত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসা ছাড়া ইউক্রেনের কাছে অন্য কোনও রাস্তা নেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল কারণ ধারে ভারে শুধু ইউক্রেন নয় বিশ্বের তাবড় দেশগুলির থেকেও অনেক এগিয়ে রাশিয়া।
মস্কো: গতকালই ভারতীয় সময় সকাল ৮ টা নাগাদ ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া (Russia-Ukraine Conflict)। একদিন কাটতেই ছবির মত সুন্দর ইউক্রেনের চারিদিকে ধ্বংসলীলার চিহ্ন। কালো ধোয়ায় ছেয়ে গিয়েছে চারপাশ, মুহুর্মুহু মিসাইল হানার শব্দে ভয়ে সিটিয়ে রয়েছে সাধারণ ইউক্রেনবাসী। এই অবস্থাতেও রাশিয়ান আগ্রাসন বেড়েছে বই কমেনি। সামরিক ক্ষমতায় ইউক্রেনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাশিয়া তাই স্বাভাবিকভাবেই ‘সুপার পাওয়ার’-র আক্রমণে ইউরোপের এই ছোট দেশটি তছনছ হওয়ার মুখে। রাশিয়ার আগ্রাসী নীতিকে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে এখনই অবধি মুখে সমর্থনের কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে ইউক্রেনে পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি কোনও দেশ। এই অবস্থায় শুক্রবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার বসার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাতে রাজি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও জানিয়ছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাতে রাজি। বেলারুশের রাজধানী মিনস্ককে ইউক্রেনিয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুতিনের বন্ধু তথা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন রাশিয়া- ইউক্রেন আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে তিনি মধ্যস্থতা করতে পারেন। ইতিমধ্যেই বেলারুশে হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। সেনা মোতায়েনের সময়ও ইউক্রেনের দাবি ছিল চারিদিক থেকেই আক্রমণ করার কারণেই বেলারুশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোডিমির জ়েলেনস্কি বারবারই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বসার আর্জি জানিয়েছিলেন। এমনকি রাশিয়ান অভিযানের আগেও তিনি ক্রেমলিনে ফোন করে কোনও উত্তর পাননি।
প্রসঙ্গত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসা ছাড়া ইউক্রেনের কাছে অন্য কোনও রাস্তা নেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল কারণ ধারে ভারে শুধু ইউক্রেন নয় বিশ্বের তাবড় দেশগুলির থেকেও অনেক এগিয়ে রাশিয়া। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে থাকার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্ষেত্রে তারা এখনও কোনও ভূমিকা পালন করেননি। বন্ধুরে ভূমিকায় বিরক্তিও প্রকাশ করেছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ান আগ্রাসনের মাঝেও মুখে কুলুপ এঁটেছে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি, সেখানেই আপত্তি ছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের। মাঝরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে তিনি ২৭ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কেউই তাঁকে ইতিবাচক কোনও উত্তর দেয়নি। জ়েলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন ন্যাটোতে থাকবে কিনা এই নিয়ে আমি ২৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রত্যেকে ভীত, কেউ উত্তর দেয়নি।”
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিয়েভের মারাত্মক পরিণতি! আশঙ্কা প্রকাশ আমেরিকার