Wedding Business: এক মাসে ৩২ লক্ষ বিয়ে হতে চলেছে দেশে, ব্যবসার পরিমাণ শুনলে চোখ উঠবে কপালে

Wedding Business: আগামী ১৪ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে বিয়ের পালা। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩২ লক্ষ বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Wedding Business: এক মাসে ৩২ লক্ষ বিয়ে হতে চলেছে দেশে, ব্যবসার পরিমাণ শুনলে চোখ উঠবে কপালে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 6:02 PM

উৎসবের পাঠ আপাতত মিটে গিয়েছে। এখন বিয়ের মরশুমে গা ভাসানোর পালা। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে বিয়ের পালা। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩২ লক্ষটি বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর এই এতগুলো বিয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে মোট ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে।

বিয়ের জামা-কাপড়, গয়না, ডেকোরেশন, বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন খরচ থেকে থাকে এই সময়। তাই একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে টাকার হাতবদল হয় অনেকবার। ফলে অনেকেই বিয়ের মরশুমের অপেক্ষায় থাকেন। আর এই মরশুমই বর্তমানে রোজগারের পথ খুলে দেয় ওয়েডিং ফটোগ্রাফার ও মেকআপ আর্টিস্টদের। এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে সিএআইটি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সোসাইট (Research and Trade)।

CAIT জানিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিয়েতে খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষের কাছাকাছি। যেখানে প্রায় ১০ লক্ষ বিয়ের ক্ষেত্রে এই খরচ ৫ লক্ষের গন্ডি পেরিয়ে যাবে। আরও ১০ লক্ষ বিয়েতে খরচ হবে ১০ লক্ষের কাছাকাছি। ৫ লক্ষ বিয়েতে খরচ হতে পারে ২৫ লক্ষের কাছাকাছি। আর ৫০ হাজার বিয়েবাড়ি এরকম হতে পারে যেখানে এক একটি বিয়েবাড়িতে খরচ হবে ৫০ লক্ষ টাকা করে। এবং এরকম আরও ৫০ হাজারটি বিয়েবাড়ি এরকম হবে যেখানে প্রত্যেকটি বিয়েতে ১ কোটি বা তার বেশি খরচ হতে পারে। এই সমীক্ষা থেকে এটাই জানা গিয়েছে, এই মাসে এই এতগুলি বিবাহ অনুষ্ঠানের কারণে বাজারে মোট ৩.৭৫ লক্ষ টাকার নগদপ্রবাহ হবে। পরবর্তী বিয়ের মরশুম শুরু হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে। এবং জুলাই অবধি সেই মরশুম চলবে।

CAIT-র এই সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী বিয়ের মরশুমে কেবলমাত্র দিল্লিতেই ৩.৫ লক্ষ বিবাহ অনুষ্ঠান সংঘটিত হওয়ার কথা। যার থেকে মোট ৭৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। গত বছর এই একই সময়ে মোট ২৫ লক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। যেখানে মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এদিকে CAIT জানিয়েছে, বিয়ের মরশুমের আগে একটা মোটা অঙ্কের ব্যবসা হয় ঘরবাড়ি মেরামতির কাজে। এছাড়াও, গয়না, শাড়ি, লেহেঙ্গা, আসবাবপত্র, রেডিমেড জামাকাপড়, জামা, জুতো, বিয়ের কার্ড, শুকনো ফল, মিষ্টি, ফল, পুজোর জিনিস, মুদিসদাই, খাদ্যশস্য, সাজানোর জিনিসপত্র, ইলেক্ট্রিক্য়াল জিনিসপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ও অন্যান্য উপহার সামগ্রীর চাহিদা খুব বেশি থাকে। মনে করা হচ্ছে, এই বছর এই সামগ্রীগুলির ভাল ব্যবসা হবে। এছাড়াও দেশজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যানকুইট হল, হোটেল, খোলা জায়গা, কমিউনিটি সেন্টার, পাবলিক পার্ক, ফার্ম হাউস এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আরও অন্যান্য জায়গা এখন থেকেই প্রস্তুত। এছাড়াও বিবাহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আরও অন্যান্য ব্যবসাও হয়ে থাকে। বর্তমানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টও একটা বড় ব্যবসা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।