বাড়িও নয়, অফিসও নয়, কর্মীদের জন্য ‘তৃতীয়’ বিকল্পের কথা ভাবছে টাটা

অতিমারি শুরুর পর থেকে সংস্থার বেশির ভাগ কর্মীই বাড়ি থেকে কাজ করছেন। ২০২৫ পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাড়িও নয়, অফিসও নয়, কর্মীদের জন্য 'তৃতীয়' বিকল্পের কথা ভাবছে টাটা
আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করছেন সংস্থার বেশির ভাগ কর্মী
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 9:48 PM

নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে কাজের পরিবেশে বদল এসেছে অনেকটাই। বহু সংস্থা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মোডে কাজ করাচ্ছে। অতিমারীতে সংক্রমণের ভয়ে অফিস চালু করেনি অনেক সংস্থাই। বদলে বাড়িতেই অফিসের সরঞ্জাম পাঠিয়ে দিচ্ছে। কবে দেশ করোনা-মুক্ত হবে, সেই উত্তর অধরাই। তাই কর্মস্থল নিয়ে নতুন কিছু ভাবার কথা জানাল টাটা। মঙ্গলবার এক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন।

তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ঠিক হলে হয়ত অনেকেই অফিসে কাজ করতে পারবেন, তবে পরিস্থিতি করোনা-পূর্ববর্তী পরিস্থিতির মতো হবে না। কাতারের এক ইকোনমিক ফোরামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কর্মীদের কর্মস্থল সুবিধাজনক করে দিলে লাভ হবে সংস্থার।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথমে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে যায়। টাটার ৫ লক্ষ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতে শুরু করেন। তাঁরা দীর্ঘদিন বাড়ি থেকে কাজ করেছেন এবং সংস্থার সব বিভাগেরই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পরে অবশ্য টাটা কনসালটেন্সি ঘোষণা করে মোট কর্মচারীর এক চতুর্থাংশ অফিসে যাবেন, বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত এ ভাবেই কাজ চালাতে চায় টাটা।

আরও পড়ুন: পৃথক রাঢ়বঙ্গ বিতর্কে সৌমিত্রকে দিল্লি তলব নাড্ডার, বার্লায় নরম বিজেপি

তবে তিনি জানান, অনেক কর্মী অফিসে এসে কাজ করতে চান। যদি কেউ অফিসে আসতে চান, তাহলে তাঁদের জন্য অফিস ও বাড়ির মাঝামাঝি কোনও একটি জায়গা নির্দিষ্ট করার কথা ভাবছে সংস্থা। তিনি বলেন, ‘যদি হাইব্রিড মডেলে কাজ করতে হয়, তাহলে অফিস বা বাড়ি নয় তৃতীয় স্থানের ধারনা তৈরি করতে হবে। যেটা স্যাটেলাইট অফিসও বলা যেতে পারে।’ পাশাপাশি মহিলা কর্মীদের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সন্তান সামলানোর মতো কা করতে হয় মহিলাদের। তাই, টাটা কর্তার দাবি, এই সুযোগ দিলে মহিলা কর্মীর সংখ্যাও বাড়বে, আর সেই সুযোগ কখনই মিস করা উচিৎ নয়। তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে ২৩ শতাংশ মহিলাকর্মী কাজ করেন তাঁদের সংস্থায়।