Bangladesh-China: ভারতে অনাস্থা, তাই চিনের কাছে হাত পাতল নয়া বাংলাদেশ সরকার!
Bangladesh-China: ভারত নয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আস্থা রাখছে চিনেই। বুধবার (১৪ অগস্ট), ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে চিনের কাছ থেকে তাঁরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা।
ঢাকা: ভারত নয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আস্থা রাখছে চিনেই। বুধবার (১৪ অগস্ট), ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এক সময় কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার পদে ছিলেন তিনি। এদিন বিকেলে, , বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকে ভারত, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন তিনি। তারপর, সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক আছে। সরকারে কে আছে, তার উপর নির্ভরশীল নয় সেই সম্পর্ক।
এদিন, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে, এখানে কে থাকল না থাকল (স্পষ্টতই ইঙ্গিত শেখ হাসিনার দিকে) কিছু আসে যায় না। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক আছে। সরকার পরিবর্তন হোক আর যাই হোক, চিনের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক থাকবে। আমরা এতেই গুরুত্ব দিই।”
এর আগে, একাধিক ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস-সহ, নয়া বাংলাদেশ সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভারত সরকার আওয়ামি লিগের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হাসিনা নির্ভর। তিনি তখতে থাকলে, তবেই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকে। কিন্তু, চিনের সঙ্গে সব সময়ই সম্পর্ক ভাল। নয়া সরকার যে চিনমুখী, বিদেশ উপদেষ্টার এই মন্তব্যের পর, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে, এর আগে তিনি বলেছিলেন, হাসিনা দিল্লিতে থাকলেও, সেটা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে না।
শুধু তাই নয়, দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে চিনের কাছ থেকে তাঁরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। তাই আমরা চীনের কাছে সহযোগীতা চেয়েছি।”
হাসিনার বিদায়ের আগে থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ক্রমে বেহাল হয়ে পড়ছিল। জুলাই থেকে টানা আন্দোলন, অরাজকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের আগুন দাম। মূল্যবৃদ্ধি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি। মঙ্গলবারই তা স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশি দেশগুলির থেকে আমদানির উপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক মুদ্রা কম থাকায় বন্ধ হতে বসেছে সেই সব আমদানি। এই সংকট থেকে মুক্ত হতে, চিনের মুখাপেক্ষী হল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)