Blue Chip Share Price Drop : ‘জলের দামে’ বিকোচ্ছে এ সব শেয়ার, কিনলেই মোটা মুনাফা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Blue Chip Share Price Drop : শেয়ার বাজারে দাম পড়ছে ব্লু চিপ শেয়ারের। মুদ্রাস্ফীতি, টাকার দামের পতনের ফলেই এইসব নামি সংস্থার শেয়ার দর কমছে।

Blue Chip Share Price Drop : 'জলের দামে' বিকোচ্ছে এ সব শেয়ার, কিনলেই মোটা মুনাফা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
গ্রাফিক্স : অভিজিৎ বিশ্বাস (টিভি৯ বাংলা)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 6:55 PM

আড়াই মাস পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই দু’দেশের বিবাদের জেরে প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ে। দেশীয় বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামবৃদ্ধির আশঙ্কাও বাড়ে। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ে শেয়ার বাজার। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনসেক্সের সূচকে পতন হয়েছিল ১৩০০ পয়েন্ট। এরপর ক্রমশ পড়তে পড়তে ৬১ হাজার থেকে এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৫২,৮০০ পয়েন্টে। যদিও যুদ্ধের দিন যত এগোতে থাকে ধীরে ধীরে ছন্দেও ফিরতে শুরু করে দালাল স্ট্রিট। আবার ৬০ হাজারের শিখর ছুঁয়ে ফেলে সেনসেক্স। যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারলেও সম্প্রতি ফের পতন দেখা যাচ্ছে শেয়ার বাজারে।

উল্লেখ্য়, মন্দা বাজারে সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে প্রথম শ্রেণির শেয়ার বা ব্লুচিপ শেয়ারগুলি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- উইপ্রো, হিন্ডালকো, বিপিসিএল, এইচডিএফসি, হিন্দুস্তান লিভার, টাটা মোটরস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো ও ইনফোসিস। এই সব সংস্থার শেয়ারের দামে রেকর্ড পতন দেখা গিয়েছে। ফলে এখন দাম কম থাকলেও ভবিষ্যতে এই কোম্পানির শেয়ার যে ঘুরে দাঁড়াবে না, তা নয়। তাই এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপরিউক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম তাদের ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামের থেকে পতন হয় প্রায় ২১ থেকে ৩৪ শতাংশ।

এসব শেয়ারের দামের পতনের কারণ :

মুদ্রাস্ফীতি :

করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ – বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বাজারের অবস্থা খারাপ। মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত গোটা দেশ। দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সম্প্রতি রেপো রেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রায় ৪০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলিও সম্প্রতি ফিক্সড ডিপোজ়িট ও ঋণের উপর সুদের হার বাড়িয়েছে। ফলে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ কমবে। এতে ক্রয়ক্ষমতা কমবে সাধারণ মানুষের। অতঃপর মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে। আর রেপো রেট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে।

ডলারের নিরিখে টাকার দামের পতন :

বর্তমানে ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম কমে হয়েছে ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা। আগে যা ছিল ডলার প্রতি ৭৭ টাকা ৫ পয়সা। সুতরাং ভারতীয় বাণিজ্যিক পরিস্থিতি একটি অস্থিতিশীল জায়গায় রয়েছে। ভারতীয় বাণিজ্যিক বাজারে মন্দার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ভারতকে। এই ব্লু চিপ শেয়ারের মধ্যে ইনফোসিস অন্যতম। এদিকে করোনা মহামারির জেরে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় সংস্থা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে এই তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর প্রভাব পড়ছে সংস্থার শেয়ারে।