China in Big Crisis: এই কারণে ভিতর থেকে শেষ হয়ে যাচ্ছে চিন, থাকবে তো উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা?
China in Big Crisis:সব থেকে বড় সঙ্কট তৈরি হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতে। অনেক কোম্পানি রীতিমতো দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেখানকার একটা বড় অংশের ক্রেতাদের কাছে ইএমআই দেওয়ার মতোও টাকা নেই।
কলকাতা: বিগত কয়েক দশকে তড়তড়িয়ে ছুটেছে চিনের অর্থনীতির বিজয়রথ। বারবারই তুলনা করা হয়েছে মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে। চলেছে জোর টক্করও। কিন্তু, করোনাকাল ও তাঁর পরবর্তী সময়ে পরবর্তী ক্রমেই হাতেই বাইরে গিয়েছে বেজিংয়ের। যেন গোটা বিশ্বের বিষ নজরে পড়েছে ভারতের পড়শি এই দেশ। ভেঙে পড়ছে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থব্যবস্থাও। একটা সময় ছিল যখন চিনকে বিশ্বের উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতিরগুলির তালিকায় একাবের শীর্ষ তালিকায় রাখা হত, কিন্তু আজ পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। সেখানকার মানুষ বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। মানুষ কাজের সন্ধানে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বন্ধ করে চিন থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই অনেক কোম্পানি তাঁদের ব্যবসা ভারতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আখেড়ে ভারতের লাভ হচ্ছে বলে মত আন্তর্জাতিক বাজার বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ। তবে তাতে যে জিনপিং সরকারের কপালে ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে। লালফৌজ শীতল চাহনি পড়ছে বর্ডারে। যদিও সেসবে পাত্তা না দিয়ে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ছে। এই কারণেই একদিকে গোটা বিশ্ব যখন মন্দার কবলে, অন্যদিকে ভারতে দ্রুততার উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু, চিনে কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে? কী করছে সে দেশের সরকার?
চিনের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দ্রুত তাঁদের অর্থ চিন থেকে তুলে নিচ্ছে। অনেক কোম্পানির কাছে তাঁদের কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো টাকাও অবশিষ্ট নেই বলে খবর। এই সমস্যা মোকাবেলায় সে দেশের সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে বটে, তাতে যে সব সময় কাজের কাজ খুব একটা হচ্ছে এমনটা নয়।
সব থেকে বড় সঙ্কট তৈরি হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতে। অনেক কোম্পানি রীতিমতো দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেখানকার একটা বড় অংশের ক্রেতাদের কাছে ইএমআই দেওয়ার মতোও টাকা নেই। তাতেই বেকায়দায় পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে তাবড় তাবড় সব সংস্থা।
গোটা দেশের মোট জনতার সামগ্রিক গড় বয়স ক্রমশই ঊর্ধমুখী। বার্ধক্যজনিত কারণে কর্মশক্তি কমছে। জনসংখ্যায় কমছে তারুণ্যের প্রভাব। বড় অংশের মানুষের অবসরের বোঝা চিনের অর্থনীতিতে আরও চাপ তৈরি করছে। কারণ সরকারকে তাঁদের পেনশন দিতে হচ্ছে। বর্তমানে, চিনে ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মানুষের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮৭ কোটি। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই এই বয়স সীমার মধ্যে। ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বয়স সীমার মধ্য থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ আগামী ৫ বছরে বেরিয়ে যাবে। এর অর্থ হল আগামী দিনে চিনের কর্মশক্তি কমবে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে পেনশনভোগীর সংখ্যা।