Coin: টাকার কয়েনেও থাকে ঠিকানা, খুঁজে দেখেছেন কখনও?

Coin: একই মূল্যের কয়েন দেখতে বিভিন্ন হয়। গোলাকার আয়তনে যেমন ফারাক থাকে, তেমনই রং ও নকশায় ফারাক স্পষ্ট। কিন্তু, কেন এরকম ফারাক হয় জানেন কি? প্রতিটি কয়েনের নকশার মধ্যেই দেওয়া থাকে সেটি উৎপাদনের ঠিকানা। অর্থাৎ কেবল বৈচিত্র্য আনতে নয়, যে জায়গায় মুদ্রা তৈরি হয়, সেই জায়গা চিহ্নিত করতে মুদ্রার নকশায় ফারাক হয়।

Coin: টাকার কয়েনেও থাকে ঠিকানা, খুঁজে দেখেছেন কখনও?
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Jan 01, 2024 | 8:11 PM

নয়া দিল্লি: আমরা ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, ২০ টাকার কয়েন (মুদ্রা) ব্যবহার করি। একই মূল্যের কয়েন দেখতে বিভিন্ন হয়। গোলাকার আয়তনে যেমন ফারাক থাকে, তেমনই রং ও নকশায় ফারাক স্পষ্ট। কিন্তু, কেন এরকম ফারাক হয় জানেন কি? প্রতিটি কয়েনের নকশার মধ্যেই দেওয়া থাকে সেটি উৎপাদনের ঠিকানা। অর্থাৎ কেবল বৈচিত্র্য আনতে নয়, যে জায়গায় মুদ্রা তৈরি হয়, সেই জায়গা চিহ্নিত করতে মুদ্রার নকশায় ফারাক হয়। আবার অনেক সময়ে একই ধরনের দেখতে একই মুদ্রার কয়েনের নকশায় এতটাই সামান্য ফারাক থাকে যে একঝলকে সেটা সহজে বোঝা যায় না। কীভাবে এই ফারাক চিনবেন এবং মুদ্রার উৎপাদন-ঠিকানা জানবেন, জেনে নিন…

দেশের সাধারণত চারটি শহরে মুদ্রা তৈরি হয়। এই শহরগুলি হল- মুম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতা ও নয়ডা। এই চারটি শহরের নাম বিশেষ চিহ্নের মাধ্যমে মুদ্রার উপর অঙ্কিত থাকে। অর্থাৎ সেই ক্ষুদ্র চিহ্ন দেখেই বোঝা যায়, কোন মুদ্রা কোন শহরে উৎপাদিত হয়েছে।

যেমন, ১ টাকা হোক বা ২ টাকা কিংবা ৫ টাকা- অনেক মুদ্রার নীচের দিকে ছোট্ট একটি বিন্দু থাকে। এই বিন্দুর অর্থ, মুদ্রাটি নয়ডায় উৎপাদিত হয়েছে।

কয়েনের নীচে ছোট্ট বিন্দু।

অনেক মুদ্রার নকশার নীচের দিকে ছোট্ট একটি তারা চিহ্ন থাকে। এই তারা চিহ্নের অর্থ, মুদ্রাটি হায়দরাবাদে উৎপাদিত।

কয়েনের নকশার নীচে তারা চিহ্ন।

অনেক মুদ্রার নীচের দিকে একটি হীরের চিহ্ন থাকে। হীরের চিহ্নের অর্থ, মুদ্রাটি মুম্বইয়ে উৎপাদিত হয়েছে।

large image- coin1

কয়েনের নকশার নীচে ছোট্ট বিন্দু।

আবার অনেক কয়েনের নকশার নীচে কোনও চিহ্ন থাকে না। বিন্দু, তারা বা হীরের মতো কোনও চিহ্ন না থাকলে বোঝা যাবে, কয়েনটি কলকাতায় উৎপাদিত।

large image- coin2

১ টাকা, ২ টাকা থেকে ৫ টাকা, ১০ টাকা এবং সম্প্রতি বাজারে আসা ২০ টাকার মুদ্রাতেও এই চিহ্নগুলি দেওয়া হয় সেটির উৎপাদনের প্রকৃত ঠিকানা জানার জন্য। এটা মূলত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব রাখতে সাহায্য করে।