Ram Mandir: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, রাম নামেই ১ লক্ষ কোটির বেশি ব্যবসা
Ram Mandir: সংগঠনের কর্তাদের মতে, রাম মন্দিরের কারণে দেশে অনেক নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। তাঁদের দাবি, এখনই সময় এসেছে স্টার্টআপ সংস্থাগুলির হাত শক্ত করার।
নয়া দিল্লি: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে যেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক শেয়ারের লম্বা দৌড় দেখা গিয়েছে। এবার ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের হিসাবে নতুন করে আশার আলো দেখছেন অনেকে। সংগঠনের তরফে জানানো হচ্ছে, শ্রী রাম মন্দিরের কারণে দেশে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বিশাল ব্যবসা তৈরি হয়েছিল। এতে শুধুমাত্র দিল্লিতেই পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিসি ভরতীয়া এবং প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলছেন, দেশে এই প্রথমবার বিশ্বাস এবং নিষ্ঠার কারণে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যবসার মাধ্যমে ধরে দেশের বাজারে এসেছে। এর সিংহভাগই এসেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হাত ধরে।
সংগঠনের কর্তাদের মতে, রাম মন্দিরের কারণে দেশে অনেক নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। তাঁদের দাবি, এখনই সময় এসেছে স্টার্টআপ সংস্থাগুলির হাত শক্ত করার। শীঘ্রই নয়াদিল্লিতে এই বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করতে চলেছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। তাঁদের তথ্যই বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট এবং বড় ব্যবসায়িক সংগঠন গোটা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যেখানে শুধুমাত্র ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন এক লক্ষেরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রধানত প্রায় ২ হাজার শোভাযাত্রা, ৫ হাজারেরও বেশি বাজারে শ্রী রাম ফেরি, ১ হাজারটিরও বেশি শ্রী রাম সম্বাদ অনুষ্ঠান, আড়াই হাজারের বেশি শ্রী রাম ভজন এবং শ্রী রাম গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনগুলির তরফে বাজারে ১৫ হাজারেরও বেশি এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। ৫০ হাজারেরও বেশি জায়গায় সুন্দরকাণ্ড, হনুমান চালিসা, অখণ্ড রামায়ণ এবং অখণ্ড দীপকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
দেদার বিকিয়েছে শ্রী রাম মন্দিরের কোটি কোটি মডেল, মালা, দুল, চুড়ি, বিন্দি, চুড়ি, রাম পতাকা, রাম পটকা, রাম টপি, রাম পেইন্টিং, রাম দরবারের ছবি, শ্রী রামের ছবি। ব্রাহ্মণরাও এই সময়ে সারা দেশে ভাল আয় করেছেন। প্রসাদ হিসেবে বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি কেজি মিষ্টি ও শুকনো ফল। এক পুজোয় এক সুরে গোটা দেশকে এইভাবে মেতে উঠতে আগে দেখা যায়নি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। কোটি কোটি টাকার পটকা, মাটির প্রদীপ, পিতলের তৈরি প্রদীপ ও অন্যান্য জিনিসপত্রও দেশজুড়ে প্রচুর বিক্রি হয়েছে। উপহার হিসাবে এখন নানা অনুষ্ঠানে মানুষ রাম মন্দিরের মডেল দিচ্ছেন প্রিয়জনদের।