হোলিতে মিষ্টির নামে দেদার বিকোচ্ছে ‘বিষ’, কীভাবে আসল-নকলের ফারাক বুঝবেন?
Fake Sweet: সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভেজাল দিয়ে নকল মিষ্টি তৈরি করা হয়। এগুলোতে হয় নকল মাওয়া বা ক্ষীর ব্যবহার করা হয়, আবার কখনও চিনির পরিবর্তে স্যাকারিন যোগ করা হয়। শুধু তাই নয়, মিষ্টিকে চকচকে দেখাতে কখনও কখনও তেল লাগানো হয়, যা খাওয়ার অযোগ্য।
নয়া দিল্লি: আজ হোলি। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রঙের উৎসব। তবে শুধু রঙই নয়, হোলিতে গুজিয়া, সন্দেশ, মালপোয়াও খাওয়া হয় চুটিয়ে। মিষ্টির দোকানগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই লম্বা লাইন পড়েছে। মিষ্টি প্রেমীরা নিজেদের পছন্দসই মিষ্টি কিনছেন। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক মুনাফালোভীরা নির্বিচারে বাজারে নকল মিষ্টির ব্যবসা করছে। কীভাবে নিজেকে নকল মিষ্টি থেকে রক্ষা করবেন?
সম্প্রতিই দিল্লি থেকে শুরু করে রাঁচিতে নকল মিষ্টির বিরাট চক্র সামনে এসেছে। এই নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ও শুরু হয়েছে। খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষা করা হলেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসে।কমপক্ষে ১৩টি রেস্টুরেন্ট ও মিষ্টির দোকানকে নোটিসও পাঠিয়েছে খাদ্য দফতর। জানানো হয়েছে, ১৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে ২১টিতেই ভেজাল পাওয়া গিয়েছে।
মিষ্টি কীভাবে ভেজাল হয়?
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভেজাল দিয়ে নকল মিষ্টি তৈরি করা হয়। এগুলোতে হয় নকল মাওয়া বা ক্ষীর ব্যবহার করা হয়, আবার কখনও চিনির পরিবর্তে স্যাকারিন যোগ করা হয়। শুধু তাই নয়, মিষ্টিকে চকচকে দেখাতে কখনও কখনও তেল লাগানো হয়, যা খাওয়ার অযোগ্য। তাছাড়া কৃত্রিম রঙের ব্যবহার তো রয়েইছে। কিছু রঙিন মিষ্টি, লাড্ডু ও জিলিপিতে কৃত্রিম রং, নকল ছানা ও খোয়া ক্ষীর যোগ করা হয়।
নকল মিষ্টির প্রধান সমস্যা হল, এগুলি খেলে আপনার শরীর খারাপ করতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা উৎসবের সময়, নিজেদের লাভ করতে বিপুল পরিমাণে নকল মিষ্টি বিক্রি করে।
কীভাবে নকল মিষ্টি চিনবেন?
রঙিন বা চকচকে মিষ্টি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এছাড়া বেশি চিনির যে মিষ্টিগুলি, সেগুলিতেও ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আপনি যদি নকল মিষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান, তবে কিছু জিনিস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রথমেই দেখতে হবে যে দোকান থেকে মিষ্টি কিনছেন, তার FSSAI লাইসেন্স আছে কিনা। এছাড়া খোলা ও রঙিন মিষ্টি কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত।