Health Insurance: অনলাইনে স্বাস্থ্য বিমা কিনছেন? এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন, নচেৎ লোকসান হতে পারে
Health Insurance: বর্তমানে স্বাস্থ্য বিমা বিশেষ জরুরি। এখন অনলাইনের যুগ। অন্যান্য সকল কাজের মতো স্বাস্থ্য বিমাও অনলাইনে হয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি অনলাইনে বিভিন্ন অফারের ডালি নিয়ে হাজির। আপনিও যদি অনলাইনে স্বাস্থ্য বিমা করতে চান, তাহলে এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখা জরুরি।

নয়া দিল্লি: বর্তমানে চিকিৎসা খরচ অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance) ছাড়া ভাল হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে হলে নাজেহাল অবস্থা হতে হয় মধ্যবিত্তকে। আজকাল তো এমন অবস্থা যে, দুর্ঘটনায় হাতের হাড় ভাঙা নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, ভিতরে আরও বড় কোনও লাইন ফ্র্যাকচার হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি হাসপাতালে এই সমস্ত চিকিৎসার খরচ উঠতে পারে ২-৩ লাখ টাকা। ফলে স্বাস্থ্য বিমা না থাকলে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো কষ্টসাধ্য। তাই বর্তমানে স্বাস্থ্য বিমা করা যেমন জরুরি, তেমনই স্বাস্থ্য বিমা করার সময়ে বিশেষ কতকগুলি বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক।
বর্তমানে অনলাইনের যুগ। অন্যান্য সকল কাজের মতো স্বাস্থ্য বিমাও অনলাইনে হয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি অনলাইনে বিভিন্ন অফারের ডালি নিয়ে হাজির। আপনিও যদি অনলাইনে স্বাস্থ্য বিমা করতে চান, তাহলে কোন বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন জেনে নিন…
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন
১) কোনও স্বাস্থ্য বিমা নেওয়ার আগে কত টাকার কভারেজ মিলবে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। বছরে একটি নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম দিয়ে ৫-৭ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা কভারেজ মিলতে পারে। তবে কত প্রিমিয়ামের জন্য কতগুলি এবং কী কী রোগ বিমার আওতায় আসছে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
২) স্বাস্থ্য বিমা গ্রহণ করার আগে সাবধানে তার শর্তাবলী পড়ুন এবং বুঝুন। অনলাইন সাইটে অন্যান্য কোম্পানির স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে এটির তুলনা করে নিন।
৩) স্বাস্থ্য বিমা কেনার সময় প্রতিটি শর্ত বুঝে নিতে হবে। যেমন, কত টাকার প্রিমিয়ামে কত টাকা কভারেজ মিলবে, গুরুতর অসুস্থতা, আগে থেকে থাকা অসুস্থতা এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমার কী সুবিধা মিলবে, সে বিষয়ে কোম্পানির নিয়ম জানার পরই বিমাটি কিনুন।
৪) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বলা হয়, যত আগে বিনিয়োগ শুরু করা হয়, পরিশেষে তত বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে বলা হয়, আপনি যত তাড়াতাড়ি বিমা কিনবেন, তত কম প্রিমিয়াম পরে দিতে হবে। ধরা যাক, আপনার বয়স ৪০ বছর। আপনি যদি বয়সের আগে বিমার কভারেজ নেন তবে আপনি কোনও শর্ত ছাড়াই আরও সুবিধা পেতে পারেন। এর সঙ্গে প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করে আপনি নো ক্লেম বোনাসের সুবিধাও পাবেন।
৫) স্বাস্থ্য বিমা নেওয়ার সময় কোম্পানিকে অবশ্যই মেডিক্যাল রেকর্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত। আপনি যদি কোনও ভুল তথ্য দেন তাহলে স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি আপনার দাবি অস্বীকার করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনি চিকিৎসার সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
৬) মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স নেওয়ার সময় অবশ্যই দেখে নিন আপনি কী কী সুবিধা পাচ্ছেন। কিছু জিনিস অনেক সময় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
৭) প্রতিটি স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানির নিজস্ব নিয়ম রয়েছে এবং তারা সেই নিয়ম অনুসারে পলিসি ডিজাইন করে। কিছু পলিসিতে, গুরুতর রোগের কভার বিমার অধীনে নেওয়া যেতে পারে, আবার কিছু রোগে সুবিধা দেওয়া হয় না। সেটা দেখে নেবেন।





