Hybrid car: পেট্রল বা বিদ্যুৎ চালিত নয়, এই ধরনের গাড়ির চাহিদায় তুঙ্গে দেশের অর্থনীতি
Car sell: বৈদ্যুতিক গাড়ি ছাড়াও দেশে হাইব্রিড ও সিএনজি গাড়ির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। একইসঙ্গে কিছু কোম্পানি অন্যান্য বিকল্প জ্বালানির গাড়িও চালু করেছে। আর এই গাড়ির চাহিদা বৈদ্যুতিক গাড়িকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক গাড়ির চেয়ে বেশি মানুষ বিকল্প জ্বালানি বা হাইব্রিড গাড়ি পছন্দ করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: গোটা বিশ্বের সঙ্গে বায়ু দূষণে জেরবার ভারতও। দূষণ রোধে পেট্রল, ডিজেল চালিত গাড়ির বদলে বিকল্প জ্বালানিতে চালানো যানবাহনকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ইলেক্ট্রিক গাড়ি (Electric car)। বৈদ্যুতিক গাড়ি ছাড়াও দেশে হাইব্রিড (Hybrid) ও CNG গাড়ির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। একইসঙ্গে কিছু কোম্পানি অন্যান্য বিকল্প জ্বালানির গাড়িও চালু করেছে। আর এই গাড়ির চাহিদা বৈদ্যুতিক গাড়িকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক গাড়ির চেয়ে বেশি মানুষ বিকল্প জ্বালানি বা হাইব্রিড গাড়ি পছন্দ করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম গাড়ি কোম্পানি মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী পরিচালক শশাঙ্ক শ্রীবাস্তবও বলেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁদের পোর্টফোলিওর ১৫ শতাংশ গাড়ি বৈদ্যুতিক হয়ে যাবে। এছাড়া ২৫ শতাংশ গাড়ি হাইব্রিড হবে, আর ৬০ শতাংশ গাড়ি হবে পেট্রোল, সিএনজি, জৈব জ্বালানি এবং ফ্লেক্সি ফুয়েল গাড়ি।
এই গাড়িগুলি ইলেকট্রিক গাড়িগুলিকে পিছনে ফেলেছে
চলতি অর্থবর্ষের ৭ মাসের গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। তবে বিগত দু-মাসে হাইব্রিড গাড়িগুলি ইলেকট্রিক গাড়িকে পিছনে ফেলেছে। এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ছিল ৭,১১০ ইউনিট এবং অক্টোবরে ৭,১০০ ইউনিট। সেখানে সেপ্টেম্বরে হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৭,৩৮৫ ইউনিট এবং অক্টোবরে ৭,৪০০ ইউনিট।
বিকল্প জ্বালানির শক্তি
এ বছর বাজারে আসা নতুন গাড়ির পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, বাজারে নতুন মডেলের পেট্রল ও ডিজেল গাড়ির আগমন কমেছে। সেখানে বৈদ্যুতিক ও সিএনজি গাড়ির ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১৪১টি পেট্রল চালিত গাড়ি চালু করা হলেও চলতি অর্থবর্ষে এই সংখ্যা ১১১টি। আর ডিজেল চালিত গাড়ি সংখ্যা ১৩৮ থেকে কমে হয়েছে মাত্র ৫৪। এর বিপরীতে এ বছর ২৪টি সিএনজি এবং ৩১টি ইলেকট্রিক মডেলের গাড়ি বাজারে এসেছে। যেখানে ২০১৯-২০ সালে এই গাড়ির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৪ এবং ৭।
এদিকে, বিকল্প জ্বালানির দিকে জনগণ এবং বাজারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার ফলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতি লাভবান হতে চলেছে। বর্তমানে, ভারত তার প্রয়োজনীয় পেট্রলিয়াম আমদানি করে। বিকল্প জ্বালানির দিকে সরে যাওয়ায় ভারতের আমদানি-বিল কমবে।