IMF chief economist: বিশ্বের জিডিপি-র প্রায় ১৫ শতাংশ ভারতের অবদান: গীতা গোপিনাথ
আর্থিক উন্নতির ধারা বজায় রাখতে মাথাপিছু রোজগার বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন গীতা গোপিনাথ। মাথা পিছু রোজগার বাড়াতে বেসরকারি লগ্নি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। বেসরকারি লগ্নি টানতে পরিকাঠামো এবং লগ্নির পরিবেশ তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেছেন গীতা।
নয়াদিল্লি: বিশ্বের জিডিপি-তে ভারতের প্রায় ১৫ শতাংশ অবদান ভারতের। নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপিনাথ। ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতকে ‘ইঞ্জিন অব গ্লোবাল গ্রোথ’ অ্যাখ্যা দিলেও গীতা মনে করেন, অর্থনীতির উন্নতির জন্য জন্য এখনও অনেক কাজ করা বাকি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের আধিকারিক গীতা বলেছেন, “অর্থনীতির বৃদ্ধির পাশাপাশি সেই বৃদ্ধিকে ধরে রাখা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর জন্য পরিকাঠামোগত সংস্কারের দরকার হয়। ভারত একটি বড় দেশ। তাই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হলেও মাথাপিছুর হিসাবে তা এখনও অল্প। তাই এই বৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সে জন্য কাজ করে যেতে হবে।”
আর্থিক উন্নতির ধারা বজায় রাখতে মাথাপিছু রোজগার বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন গীতা গোপিনাথ। মাথা পিছু রোজগার বাড়াতে বেসরকারি লগ্নি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। বেসরকারি লগ্নি টানতে পরিকাঠামো এবং লগ্নির পরিবেশ তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেছেন গীতা। এর পাশাপাশি ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নয়নের কথাও উঠে এসেছে তাঁর মুখে। এ বিষয়ে গীতা গোপিনাথ বলেছেন, “এই ক্ষেত্রে ভারত সত্যিই এগিয়ে রয়েছে। এর সুফলও মিলছে। অন্য অনেক দেশই তাকিয়ে আছে ভারতের ডিজিটাল উন্নতির দিকে।”
ভারতের পাশাপাশি চিনের অর্থনীতি নিয়েও মন্তব্য করেছেন গীতা। তিনি জানিয়েছেন, চিনের অর্থনীতি কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও তা ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে। এর পাশাপাশি ভারতের জি২০ সভাপতিত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।