Moonlighting : ‘যেতে পারে চাকরি’, মুনলাইটিং নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করল এই টেক সংস্থা
Moonlighting : ইনফোসিস ইমেল করে কর্মীদের মুন লাইটিং নিয়ে সতর্ক করেছে সম্প্রতি। তবে সুইগি কিছুদিন আগে তার কর্মীদের মুনলাইটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল।
কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিল ইনফোসিস। ইনফোসিসে কর্মরত থাকাকালীন কাজের সময়ের বাইরে অন্য দ্বিতীয় কোনও কাজ করা যাবে না। অন্যথায় চাকরি খোয়াতে পারেন কর্মীরা। এই মর্মে সকল ইনফোসিস কর্মীদের কাছে সেই সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের (Human Resource Department) একটি ইমেল পাঠানো হয়েছে। সেখানে মুনলাইটিংয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে কর্মীদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে সেই ইমেলে জানানো হয়েছে, আচরণবিধিতে কর্মীদের মুনলাইটিংয়ের কোনও অনুমতি নেই। তা লঙ্ঘন করলে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এমনকী চাকরি খোয়াতে পারেন বলেও সেই ইমেলে জানানো হয়েছে। এমনকি সেই ইমেলের সাবজেক্টে লেখা ছিল, ‘নো টু-টাইমিং, নো মুনলাইটিং’।
কোনও সংস্থায় স্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি কোনও ব্যক্তি যদি অফিসের বাইরে বাড়িতে সময়ে আয়ের লক্ষ্যে অন্য কোনও কাজ করেন সেটাকে মুনলাইটিং বলা হয়। সোমবার এই মুনলাইটিং নিয়ে কর্মচারীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছে ইনফোসিস। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কাজের সময়ের বাইরে কর্মীরা অন্য কোনও অ্যাসাইনমেন্ট নিতে পারবেন না। ইনফোসিসের ইমেলে জানানো হয়েছে, ‘আপনার অফার লেটারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, আপনি ইনফোসিসের সম্মতি ছাড়া অন্য কোনও সংস্থার ডিরেক্টর/পার্টনার/সদস্য হিসেবে অন্য কোনও ব্যবসায়িক কাজে লিপ্ত হতে রাজি হবে না। তবে নির্দিষ্ট কোনও সংস্থা যদি মনে করে তাহলে এই অনুমতি দিতে ও প্রত্যাহার করতে পারে।’
অনেকেই অতিরিক্ত আয়ের জন্য একটি স্থায়ী কাজের পাশাপাশি বাড়তি সময়ে কোনও কাজ করে থাকেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এই মুনলাইটিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সেই সময় প্রায় সমস্ত আইটি সংস্থার কর্মীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতেন। সেই সময় অফিসের কাজের বাইরে পাশাপাশি অন্যান্য প্রজেক্টে কাজ করতে শুরু করেন। সেই সময় বিভিন্ন সংস্থা এই বিষয়টি জানতে পারে। সংস্থাগুলি কর্মীদের ইঙ্গিত দেয় যে, এর ফলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে স্বার্থে দ্বন্দ্ব হতে পারে এবং এমনকি তথ্য এদিক-ওদিক হতে পারে।
সংস্থার স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তারা কর্মীদের এই বিষয়ে সচেতন করতে থাকে। ইনফোসিস এই নিয়ে কড়াকড়ি করে ইমেলে বার্তা পাঠিয়েছে। এর আগেও একাধিক সংস্থা এই বিষয়ে নিজেদের কর্মীদের সতর্ক করেছে। একমাস আগেই উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি মুনলাইটিংকে ঠকানোর উপায় বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘টেক ইন্ডাস্ট্রিতে থাকা অনেকেই মুনলাইটিং করেন বলে শোনা যায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা।’ এর আগে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের মুখ্য অপারেটিং অফিসার এন গণপতি সুব্রমানিয়াম এই মুনলাইটিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, স্বল্প সময়ে তাঁরা কিছু পেলেও পরবর্তী দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা অনেক কিছু হারাতে পারেন। তবে এই আইটি সংস্থাগুলি মুনলাইটিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক করলেও সুইগির মতো ফুড ডেলিভারি সংস্থা মুনলাইটিংয়ের হয়ে প্রচার করেছে। তারা তাঁদের কর্মীদের মুনলাইটিংয়ের অনুমতি দিয়েছে। অগাস্ট মাসে তারা একটি ‘মুনলাইটিং পলিসি’ শুরু করেছে। সুইগির তরফে জানানো হয়েছে, কর্মীদের ব্যক্তিগত ইচ্ছেকে বাস্তবায়নের সুযোগ দিতেই এই নীতি চালু করা হয়েছে।