Loss in Share Market: কেন লাগাতার ধস শেয়ার মার্কেটে?
Loss in Share Market: মার্চ মাস আয়কর পরিকল্পনার মাস। এই মাসে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ৩১শে মার্চের আগে শেয়ারে তাঁদের লাভ ঘরে তুলতে চান। লোকসান এড়িয়ে চলতে চান সকলেই। এর প্রভাবে বাজারে বিক্রি বেড়ে যায়। পরবর্তীতে এই শেয়ারহোল্ডাররাই আবার এপ্রিল মাসে নতুন শেয়ার কিনতে শুরু করেন।
কলকাতা: ভাল যাচ্ছে না সময়টা। বিগত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার পতন দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। ধুঁকছে সেনসেক্স, ধুঁকছে নিফটি। মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। গেল গেল রব দালাল স্ট্রিটের অন্দরে। শেয়ার দরে বড়সড় পতন দেখা গিয়েছে একাধিক নামজাদা স্টকে। কিন্তু, আচমকা কেন এই অবস্থা? কী বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা? অনেকেই বলছেন জাপানের কথা।
জাপান তার ১৭ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ জাপানের সুদের হার নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল সেই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারের অবস্থা খারাপ হলেও এশিয়ার বাজারে এর প্রভাব পড়েছে অনেকটাই। বাজারে শেয়ার বিক্রির একটা চাপ দেখা গিয়েছে। জাপানের মুদ্রানীতিতে এখনও পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী ন্যূনতম সুদের হার -০.১০ শতাংশ রাখা হয়েছিল, যা এখন শূন্য থেকে বাড়িয়ে ০.১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জাপানের নিক্কেই এবং হংকং এবং সাংহাইয়ের মতো বড় এশীয় বাজারগুলিকে প্রভাবিত করেছে। এর প্রভাব দেশীয় বাজারেও দেখা যাচ্ছে।
আরেকটি বড় কারণে বাজারে চাপ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নজরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক। বাজার আশা করছিল ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমেরিকার গত সপ্তাহের মূদ্রাস্ফীতির যে তথ্য় সামনে এসেছে তাতে পরিস্থিতি বদলেছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী মুদ্রানীতির জন্য বাজার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এদিকে মার্চ মাস আয়কর পরিকল্পনার মাস। এই মাসে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ৩১শে মার্চের আগে শেয়ারে তাঁদের লাভ ঘরে তুলতে চান। লোকসান এড়িয়ে চলতে চান সকলেই। এর প্রভাবে বাজারে বিক্রি বেড়ে যায়। পরবর্তীতে এই শেয়ারহোল্ডাররাই আবার এপ্রিল মাসে নতুন শেয়ার কিনতে শুরু করেন। সে কারণেই মার্চের বিক্রির হার বেড়ে যাওয়ায় শেয়ার দরে পতন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেছেন অনেকে।
বিঃ দ্রঃ – শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগের কোনও নির্দিষ্ট ফর্মূলা নেই। তাই এখানে বিনিয়োগ নিজের দায়িত্বে করা উচিত।