Biggest Bank Fraud: সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে সরকারের বয়ান: এবিজি শিপইয়ার্ড কেলেঙ্কারি গত সরকারের দান

Biggest Bank Fraud: সীতারামন সোমবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডের ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, 'এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলি শ্রেয় পাবে। তারা এই ধরণের প্রতারণা ধরার জন্য গড়পড়তার চেয়ে কম সময় নিয়েছে।'

Biggest Bank Fraud: সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে সরকারের বয়ান: এবিজি শিপইয়ার্ড কেলেঙ্কারি গত সরকারের দান
ফাই চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 6:43 PM

নয়া দিল্লি: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার এবিজি শিপইয়ার্ড মামলায় সরকারি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন যে এবিজির অ্যাকাউন্ট গত সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (UPA) সরকারের কার্যকালে এনপিএ (NPA) হয়েছিল। নির্মলা বলেন যে, ব্যাঙ্কগুলি গড়পড়তা অনেক কম সময়ে এই প্রতারণা ধরেছে আর এই বিষয়ে এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সীতারামন সোমবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডের ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলি শ্রেয় পাবে। তারা এই ধরণের প্রতারণা ধরার জন্য গড়পড়তার চেয়ে কম সময় নিয়েছে।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে স্বাভাবিকভাবে এই ধরণের প্রতারণা ধরার জন্য ব্যাঙ্কগুলি ৫২ থেকে ৫৬ মাস সময় নেয় আর তারপর আগে ব্যবস্থা নেয়।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার ব্যাপারে এবিজি শিপইয়ার্ড লিমিটেড আর তার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋষি কমলেশ আগরওয়াল সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে প্রায় দু ডজন ব্যাঙ্ক একজোট হয়ে প্রতারণার এই মামলা দায়ের করেছে। এবিজি শিপইয়ার্ডের কেলেঙ্কারি নীরব মোদী আর মেহুল চোকসি দ্বারা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে করা ১৪,০০০ কোটি টাকার প্রতারণার চেয়েও বড়।

এসবিআইয়ের বয়ান

একদিন আগে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও নিজেদের কথা জানিয়েছে। এবিজি শিপইয়ার্ড কোম্পানিতে স্টেট ব্যাঙ্কও ঋণ দিয়েছিল। স্টেটব্যাঙ্কের উপর দেরী করে কেস করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে এসবিআই রবিবার বলেছে যে তারা ফরেন্সিক অডিট রিপোর্টের পর সিবিআইয়ের সঙ্গে মিলে এই প্রতারণা মামলায় অ্যাকশন নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ সচেতন হয়ে কাজ করছে। প্রতারণার এই মামলায় রাজনৈতিক রঙ লেগেছে আর কংগ্রেস সরকারের কাছে প্রশ্ন করেছে যে এই প্রতারণার মামলা নথিভূক্ত করতে এত বছর লাগল কেন। এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে সিবিআই একটি বয়ানে বলেছে যে ফরেন্সিক অডিট রিপোর্টের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতারণার কথা ঘোষণা করা হয়। ঋণদাতা সমস্ত ব্যাঙ্কের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে আর যখন প্রতারণার কথা পরিস্কার হয়ে যায়, তখন সিবিআইয়ের কাছে এফআইআর নথিবন্ধ করা হয়।

এসবিআই জানিয়েছে যে পুরো প্রক্রিয়ায় দেরী করার কোনো প্রয়াস করা হয়নি। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যাঙ্কের পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলেছেন যে এত কম সময়ে প্রতারণা সামনে এনে ব্যাঙ্কগুলি বড় কাজ করেছে। সিবিআই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় এই কোম্পানির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আধিকারিকরা শনিবার জানিয়েছিলেন যে এই মামলা ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কগুলির কন্সোর্টিয়ম থেকে কথিতভাবে ২২,৮৪২ কোটি টাকার বেশি প্রতারণার কারণে দায়ের করা হয়েছে।

কাদের কাদের বিরুদ্ধে কেস

সিবিআই ঋষি কমলেশ আগরওয়াল ছাড়াও তৎকালীন কার্যকরী ডিরেক্টর সংস্থানম মুথাস্বামী, ডিরেক্টর- অশ্বিনী কুমার, সুশীল কুমার আর রবি বিমল নেওটিয়া আর অন্য একটি কোম্পানি এবিজি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধেও কথিতভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসঘাতকতা আর আধিকারিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অপরাধের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি আর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের কন্সোর্টিয়মের তরফে প্রথমে ৮ নভেম্বর ২০১৯ এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, যা নিয়ে সিবিআই ১২ মার্চ ২০২০-তে কিছু জবাব চেয়েছিল। ব্যাঙ্কের কন্সোর্টিয়ম ওই বছর আগষ্টে একটি নতুন অভিযোগ দায়ের করে আর দেড় বছরের বেশি সময় পর্যন্ত তদন্ত করার পর সিবিআই এর উপর অ্যাকশন নেয়।

সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন য়ে ফরেন্সিক অডিটে জানা গিয়েছে যে ২০১২-১৭ বছরের মধ্যে অভিযুক্তরা কথিতভাবে যোগসাজস করে আর অবৈধ গতিবিধিকে পরিণাম দেয়। এর মধ্যে টাকার ভুল ব্যবহার আর অপরাধমূলক বিশ্বাসঘাতকাও রয়েছে। এটি সিবিআই দ্বারা দায়ের করা দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলা।

Biggest Bank Fraud: দেশের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণা, ২৮টি ব্যাঙ্কের ২২৮৪২ কোটি উধাও