AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gold Price: সোনা এখন ‘সোনার পাথরবাটি’, চৈত্র সেলেও কেউ পা মারাচ্ছেন না সোনার দোকানে

Gold Price: আকাশ ছোঁয়া সোনার দাম। এর মধ্যেই ক্রেতার অভাবে ধুঁকছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

Gold Price: সোনা এখন 'সোনার পাথরবাটি',  চৈত্র সেলেও কেউ পা মারাচ্ছেন না সোনার দোকানে
ছবি সৌজন্যে: টিভি৯ বাংলা
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 7:39 PM
Share

এই বছরের শুরু থেকেই হু হু করে বাড়ছে সোনার দর (Gold Price Today)। মাঝে এমসিএক্স সূচকে (MCX Index) সোনার দাম ৬০ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়েছে। সোনার বাজারে এরকম ওঠা-নামা লেগেই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, এই বছরেই ৬২ হাজারের গণ্ডি ছুঁতে পারে সোনার দর। এদিকে শিয়রেই পয়লা বৈশাখ। তারপর রয়েছে বিয়ের মাসও। তবে এই সময় উপচে পড়া ভিড়ের দেখা নেই সোনার দোকানে।

সোনার লাগাতার দামবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উপরও। সোনার দামবৃদ্ধির ফলে আপাতত সোনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ক্রেতারা। তাই চৈত্রের সেলেও মাছি তাড়াতে হচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। সোনার দামে যখন উথাল-পাথাল সেই সময় তাঁদের ব্যবসার খোঁজ নিল টিভি৯ বাংলা। বউবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রমিত তালুকদার জানাচ্ছেন, “সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে আমাদের ব্যবসাও তো ডাউন হতে চলেছে দিনের পর দিন। বেচাকেনা তো একদম নেই। সোনার দাম যাতে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে থাকে তার জন্য সরকার যদি একটু চেষ্টা করে। তাতে আমাদেরও ভাল হয়।” তিনি বলেন, “দিনের পর দিন শুধু দোকানে আসি, খুলি, আবার বন্ধ করি। চলে যাই। এই হচ্ছে ব্যবসা। দিনের পর দিন কোনও কাস্টোমার নেই।”

সামনেই বাঙালির নববর্ষ। চৈত্র সেলে কেনাকাটা চলছে পুরোদমে। অন্যান্য বছরে এই সময় সোনার দোকানেও অল্পসল্প ভিড় দেখা যায়। এই সময় বিয়ের গয়না কেনার জন্য সোনার দোকানে রীতিমতো লাইন পড়ে যাওয়া কথা। কিন্তু এই বছর সোনার ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে খালি দোকানে মাছি মারছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। আরও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “দাম যে জায়গায় গিয়েছে দোকান একদম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। আগে ১০-১৫ হাজার টাকায় যে ভাল পরিমাণ সোনার একটা গয়না হত এবং একটা স্ট্যান্ডার্ড গিফট হয়ে যেত, সেই কাস্টোমাররা আমাদের দোকান থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। সোনার পরিবর্তে উপহার হিসেবে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন নগদ টাকা ও শাড়ি।” সোনার এই ঊর্ধ্বমুখী দামে ক্রেতাদের যেমন নাভিশ্বাস উঠেছে সেরকম ফ্যাসাদে পড়েছে বিক্রেতারাও। বউবাজারের বেশিরভাগ দোকান অধিকাংশ সময় ফাঁকা। সময় গড়ালেও দেখা নেই ক্রেতাদের। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কেবল উদাসীন মুখে শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন রাস্তার দিকে। যদি একজন ক্রেতারও পা পড়ে দোকানে। একটাই প্রশ্ন, কবে একটু হাল ফিরবে ব্যবসায়?