AIOCD: নিষিদ্ধ হচ্ছে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি, সাধারণ মানুষের কীভাবে চলবে?
Online Medicine Ban: অনলাইনে ওষুধ কেনা-বেচা নিষিদ্ধ করতে মন্ত্রিপরিষদের সচিবকে চিঠি দিয়েছে AIOCD। অনলাইনে ওষুধ কিনে সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে বলে জানিয়েছে তারা।
নয়া দিল্লি: অনলাইনে ওষুধ অর্ডার করেন? এখন এই পরিষেবা পেতে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে আপনাকে। কারণ অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অব কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট বা এআইওসিডি (AIOCD) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সটিবকে একটি চিঠি দিয়েছে। অনলাইনে ওষুধ কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে এআইওসিডি। অনলাইনে ওষুধ বিক্রেতারা ওষুধ কেনাবেচার নিয়ম মানছেন না বলে জানিয়েছে এই সংগঠন। এর ফলে, অনলাইনে ওষুধ কিনে জীবন বিপন্ন হচ্ছে মানুষের । এই কারণে এটি নিষিদ্ধ করা উচিত বলে জানিয়েছে তারা। এআইওসিডি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আপনাকে জানিয়ে রাখি, এর আগে দিল্লি হাইকোর্টও অনলাইনে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল।
হাইকোর্টের আদেশ
এআইওসিডি চিঠিতে জানিয়েছে, ২০৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তার এক আদেশে অনলাইনে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি করা নিষিদ্ধ করেছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে এই ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক ই-ফার্মেসি অনলাইনে ওষুধ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। একই সময়ে, এআইওসিডি আরও জানিয়েছে যে অবৈধভাবে পরিচালিত ই-ফার্মেসিগুলি সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ওষুধ বিক্রি করে চলেছে।
কোম্পানিগুলি আইটি আইন মানে না
এআইওসিডি চিঠিতে আরও বলেছে যে অনেক সংস্থার কাছে অনলাইনে ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। লাইসেন্স ছাড়াই তারা ওষুধ বিক্রি করছে। অনলাইনে ওষুধ বিক্রি করতে গেলে কোম্পানিগুলির তথ্য প্রযুক্তি আইনের নিয়ম মেনে চলা উচিত। অধিকাংশ সংস্থা তা করে না। এই কারণে এগুলির বিজ্ঞাপনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সম্প্রতি, ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ২০টি সুপরিচিত অনলাইন ফার্মেসিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।