RBI Repo Rate Effect : দুই ধাক্কায় ৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ল রেপো রেট, খাঁড়ার ঘা নাকি সুরাহা, কী নাচছে মধ্যবিত্তের কপালে?

RBI Repo Rate Effect : টানা দ্বিতীয়বার বাড়ল রেপো রেট। এদিন ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বাড়ি ও গাড়ির জন্য নেওয়া ঋণে বাড়তে পারে সুদের হার।

RBI Repo Rate Effect : দুই ধাক্কায় ৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ল রেপো রেট, খাঁড়ার ঘা নাকি সুরাহা, কী নাচছে মধ্যবিত্তের কপালে?
ছবি সৌজন্যে : গুগল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 2:12 PM

জুনের শুরুতেই ফের বাড়ল রেপো রেট। বুধবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেছেন, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হল রেপো রেট। এর ফলে বর্তমান রেপো রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৯০ শতাংশ। এর আগে মে মাসের শুরুতেই আরবিআই ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল রেপো রেট। দীর্ঘ অতিমারির পর দেশের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই পরপর দুই দফায় রেপো রেট মোট ৯০ বেসিসট পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে বাড়তে পারে ঋণের বোঝা। এর আগেও গত মে মাসে রেপো রেট বৃদ্ধির পরই ব্যাঙ্কগুলি ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়িয়েছিল।

রেপো রেট কী?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে (যেমন- SBI, Axis Bank, BOI, HDFC আরও অন্যান্য) স্বল্পমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে তা হল রেপো রেট।

রেপো রেট বৃদ্ধির প্রভাব :

EMI খরচ : RBI- র রেপো বৃদ্ধির ফলে পকেটে টান পড়তে চলেছে আম জনতার। কারণ এবার বাড়তে পারে EMI খরচ। গত মে মাসে RBI রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পরই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি ঋণের ক্ষেত্রে নিজেদের সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল। ফলে বাড়ি, গাড়ির জন্য় নেওয়া ঋণের বোঝা খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে মধ্যবিত্তের মাথায়। কারণ কোনও ঋণগ্রহীতা পূর্ববর্তী রেপো রেট ও সুদের হারে ঋণ নিয়ে থাকলেও বর্তমানে সুদের হার বা EMI রেট বাড়তে পারে।\

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে প্রভাব : মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাগাতার দ্বিতীয় দফায় রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে RBI-র তরফে। তবে এর ফলে আদৌ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা তা সময়সাপেক্ষ। তবে দাম বাড়তে পারে খাদ্য়দ্রব্যের। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে টাকার যোগান কিছুটা কমে। মানুষের হাতে টাকা কমলে পণ্যের চাহিদা কমবে। রেপো রেট বৃদ্ধির পিছনে যেটা মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এতে মধ্যেবিত্তের কি আদৌ সুরাহা হবে! এমনিতেই করোনা অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লেগেছে। রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে তা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি তেল ও ভোজ্য় তেলের সিংহভাগ ভারত আমদানি করে। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুই তেলেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই দেশে রেপো রেট বৃদ্ধি করে এইসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি কমানো সম্ভব হবে না। উল্টে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে মধ্যবিত্তদের বেগ পেতে হতে পারে।

শেয়ার মার্কেটে প্রভাব : শেয়ার মার্কেট ও রেপো রেটের মধ্যে একটা ব্যস্তানুপাতিক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে রেপো রেট বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ে শেয়ার মার্কেটে। রেপো রেট বৃদ্ধিতে শেয়ার মার্কেটে গ্রাফ নিম্নমুখী হতে পারে। এর ফলে কোনও বড় সংস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ রেপো রেট বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা কমতে পারে। ফলে তাঁদের হাতে টাকা কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও কোম্পানির শেয়ারে তাঁরা বিনিয়োগ করবেন না। চাহিদা কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেই শেয়ারের দাম পড়বে। এক্ষেত্রে সংস্থার সামগ্রিক দাম কমবে।

ব্যাঙ্কের ডিপোজ়িটের উপর প্রভাব : রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি তাদের ফিক্সড ডিপোজ়িটের উপরও সুদের হার বাড়াতে পারে। এর ফলে ফিক্সড ডিপোজ়িটে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। এর আগে ৪ মে রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ার পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি তাদের গ্রাহকদের জন্য ফিক্সড ডিপোজ়িটে সুদের হার বৃদ্ধি করেছিল।