Inflation Rate: টিভি-ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করছেন? ‘ঝটকা’ খেতে পারেন দাম শুনে…

Inflation Rate: একদিকে যেমন সানসিল্ক শ্যাম্পুর দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তেমনই ১০০ এমএলের ক্লিনিক প্লাস শ্যাম্পুর দামও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Inflation Rate: টিভি-ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করছেন? 'ঝটকা' খেতে পারেন দাম শুনে...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 2:47 PM

নয়া দিল্লি: আগামী মাসে টিভি বা ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা করছেন? তবে আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর। এক ধাক্কায় বেশ অনেকটাই বাড়তে চলেছে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দাম (Electronic Appliance Price)। আট বছরের রেকর্ড ভেঙে গত এপ্রিল মাসেই রিটেল ইনফ্লেশন বা খুচরো পণ্য়ের মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৯ শতাংশে। এর জেরে ইতিমধ্যেই পেট্রোল-ডিজেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এবার দাম বাড়তে চলেছে ইলেকট্রনিক পণ্যেরও। একাধিক সংস্থা আগামী মাস থেকেই ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। অন্য কিছু সংস্থা আবার কাঁচামাল ও উৎপাদনের খরচ কমাতে পণ্যের ওজন কমানো ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গৃহস্থের বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক দ্রব্য যেমন টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও রেফ্রিজারেটরের দামি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের শেষভাগ বা জুনের শুরুতেই এই পণ্য়গুলির দাম ৩ থেকে ৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারে। এরফলে গৃহস্থের পকেটে আরও চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কনজিউমার্স ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি তো চিন্তা বাড়াচ্ছেই, একইসঙ্গে ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দামে ব্যাপক পতনের কারণে সমস্যা আরও বাড়ছে। জুন মাস থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলির দাম ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম সর্বনিম্ন সীমায় পৌঁছয়। প্রতি ডলারের দাম ৭৭ টাকা ৬৩ পয়সায় নেমে দাঁড়ায়।

সম্প্রতি ভোগ্যপণ্য সংস্থা হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের তরফে তাদের একাধিক পণ্যের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। একদিকে যেমন সানসিল্ক শ্যাম্পুর দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তেমনই ১০০ এমএলের ক্লিনিক প্লাস শ্যাম্পুর দামও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১২৫ গ্রামের পেয়ার্স সাবানের দাম ২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর মাল্টিপ্যাকের দাম ৩.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিগত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বেড়ে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে মুদ্রাস্ফীতির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তাও পার করে গিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতেই একাধিক সংস্থা তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর বদলে ওজন কমানোর পথেও হাঁটছে। ইউনিলিভার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ, ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেড তাদের উৎপাদিত পণ্যের ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।একইসঙ্গে প্যাকেজিংয়ের খরচও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্য তেল, খাদ্যশস্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

 ভিম বারের ১০ টাকার প্য়াকেটের আগে ওজন হত ১৫৫ গ্রাম। বর্তমানে তা কমিয়ে ১৩৫ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছে। হলদিরামের আলু ভুজিয়ার দামও ৫৫ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৪২ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছে।