Maya Tata: আগামিদিনে টাটা সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দেবেন এই মেয়ে! রতন টাটার কে হন?
Maya Tata: জেআরডি টাটার হাতে তৈরি সংস্থাটি শুরু থেকেই একের পর এক যোগ্য নেতা পেয়েছে। সর্বশেষ উদাহরণ রতন টাটা। তবে, এখন তিনি বয়সের কারণে ধীরে ধীরে টাটার বিভিন্ন দায় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। টাটা সন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এন চন্দ্রশেখরন। তবে, তাঁর ভূমিকা অনেকটাই অন্তর্বর্তীকালীন। এই অবস্থায় আগামী দিনে ভারতের এই অন্যতম সফল শিল্প গোষ্ঠীকে কে নেতৃত্ব দেবে, সেই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠছে।
মুম্বই: ভারতে আদানি, অম্বানি, মিত্তল, বিড়লা – অনেক শিল্পগোষ্ঠী রয়েছে। তবে, সব শিল্পগোষ্ঠীকে ফেলে সাধারণ মানুষ বাড়তি আস্থা রাখে টাটা গোষ্ঠীর উপর। লবণ থেকে উড়োজাহাজ – প্রায় সব খাতে ছড়িয়ে রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা। জেআরডি টাটার হাতে তৈরি সংস্থাটি শুরু থেকেই একের পর এক যোগ্য নেতা পেয়েছে। সর্বশেষ উদাহরণ রতন টাটা। তবে, এখন তিনি বয়সের কারণে ধীরে ধীরে টাটার বিভিন্ন দায় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। টাটা সন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এন চন্দ্রশেখরন। তবে, তাঁর ভূমিকা অনেকটাই অন্তর্বর্তীকালীন। এই অবস্থায় আগামী দিনে ভারতের এই অন্যতম সফল শিল্প গোষ্ঠীকে কে নেতৃত্ব দেবে, সেই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠছে। দৌড়ে বেশ কয়েকটি নাম থাকলেও, সবার আগে রয়েছে এক মহিলার নাম। তিনি মায়া টাটা। ৩৪ বছরের এই মহিলা লাইমলাইটের বাইরে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। সাধারণ মানুষরা তো বটেই, টাটা গোষ্ঠীর মধ্যেও অনেকেই তাঁকে চেনেন না। কে এই মায়া টাটা? রতন টাটার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক –
মায়া টাটা হলেন রতন টাটার ভাইঝি। মায়া টাটার বাবা, নোয়েল টাটা, রতন টাটার সৎ ভাই। আর তাঁর মা হলেন আল্লু মিস্ত্রি। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির বোন। সাইরাস ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মাধ্যমে, টাটা সন্সে মিস্ত্রি পরিবারের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। টাটা সন্সে এই বিপুল পরিমান অংশীদারিত্ব বিবেচনা করেই ব্যবসায়িক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে টাটা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে চলেছেন মায়া টাটাই।
আর দায়িত্ব পেলে কাউকে নিরাশ করবেন না তিনি, এমনটাই মনে করেন ব্যবসায়িক পর্যবেক্ষকরা। বয়স অল্প হলেও, ইতিমধ্যে টাটা গোষ্ঠীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন মায়া টাটা। ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইস বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং ব্যবসায়িক দক্ষতায় প্রয়োজনীয় ধার দিয়েছেন তিনি। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, টাটা ক্যাপিটালের ফ্ল্যাগশিপ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড, টাটা অপর্চুনিটিজ ফান্ডে। টাটা অপর্চুনিটিজে তিনি পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্টর রিলেশনস-এর ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতার পরিচয় দেন। এরপর, তিনি টাটা ডিজিটালে কাজ করা শুরু করেছিলেন। সেই সময়, টাটা গোষ্ঠীর নতুন অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মায়া। তাঁর এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে টাটা গোষ্ঠীও।
২০১১ সালে কলকাতায় টাটাদের ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন রতন টাটা। সেই হাসপাতালের পরিচালনা করে টাটা মেডিকেল সেন্টার ট্রাস্ট। সম্প্রতি টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের বোর্ড সদস্য হিসেবে তাঁর ভাই ও বোন, নেভিল ও লিয়ার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মায়াও। ইকোনমিক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে বড় দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। টাটা সন্সের সর্বশেষ বার্ষিক সভাতেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতেই মায়া টাটাকে বড় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। সবথেকে বড় করা হয়েছে, মায়াকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন খোদ রতন টাটা। কাজেই, আগামীদিনে টাটা গোষ্ঠীর দায়িত্ব, সর্বকনিষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসাবে, মায়া টাটার হাতে চলে গেলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।