Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Municipal Election: এ এক অন্য যুদ্ধ! শাশুড়ি না বৌমা, শেষ হাসি হাসবে কে?

Municipal Election: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট। পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছে সব দলই।

Municipal Election: এ এক অন্য যুদ্ধ! শাশুড়ি না বৌমা, শেষ হাসি হাসবে কে?
প্রতিপক্ষ বৌমা ও শাশুড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2022 | 3:55 PM

পুরুলিয়া: বাংলায় ভোটযুদ্ধ আসন্ন। ময়দানে নেমে পড়েছে সব দলই। ভোট আবহে চলেছে দলবদলও। আর তার জেরেই ফাটল ধরছে পরিবারে! একই ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষে আসলে সম্পর্কে শাশুড়ি ও বৌমা। দু পক্ষই শেষ বেলার লড়াইয়ে পরস্পরের দিকে ছুড়ে দিচ্ছেন শব্দবান। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঠিকই আছে বলে দাবি তাঁদের।

পুরুলিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গিয়েছে এমনই ছবি। এই ওয়ার্ডে গতবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন রুকাইয়া খাতুন। আর এবার তাঁর বদলে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই কাকি শাশুড়ি নীলুফার আনজুম। দলের এই সিদ্ধান্ত না মানতে পেরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বৌমা। পুরভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে শাশুড়ির বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি।

কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ভোটের আবহে কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ তাঁদের। বিভাজন স্পষ্ট পরিবারের অনান্য সদস্যদের মধ্যেও। ভাগাভাগি হয়েছে কর্মীদের মধ্যেও। তবে, দুই প্রার্থীই দাবি করেছেন যে এলাকার মানুষ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।

প্রাক্তন কাউন্সিলর রুকাইয়া খাতুন জানিয়েছেন, কর্মীরা তাঁর সঙ্গে আছেন, মানুষও তাঁর সঙ্গে আছেন। তবে রাজনীতির জন্য পারিবারিক স্পর্কের অবনতি হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কে কী বলছে তাতে কান না দেওয়াই ভালো। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রুকাইয়া খাতুন। অন্যদিকে, তাঁরই কাকি শাশুড়ি নীলুফার আনজুম জানিয়েছেন,  লড়াই করছেন তাঁরা। ভালো ফলের আশা করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, পরিবারের সঙ্গে রাজনীতিকে মেলালে চলবে। রাজনৈতিক বিভাজন থাকলেও তার প্রভাব পড়ছে না পরিবারে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

ওয়ার্ডে এখন শাশুড়ি- বৌমার সেই লড়াই ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। তবে, শেষ হাসি হাসবে কে, তা ফলাফলেই বোঝা যাবে।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court: হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীদের! বিশেষ পরামর্শ আদালতের

আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে কীভাবে ফিরবে বাংলার পড়ুয়ারা? হেল্পলাইন নম্বর চালু করল নবান্ন