Amit Shah in Goa: ‘বাংলার কৃষকরা সুবিধা পাননি, কিন্তু গোয়ার কৃষকরা পান’, ‘ছোট দল’কে ভোট দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা শাহের
Goa Assembly Election 2022: প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রকল্প এনেছিলেন মোদীজী। গোয়ার কৃষকরা সেই সুবিধা পেয়েছেন, কিন্তু বাংলার কৃষকরা সেই সুবিধা পাননি।"
পানাজি: আর মাত্র তিনদিন, তারপরই সৈকত শহরে শুরু হবে বিধানসভা নির্বাচন (Goa Assembly Election 2022)। একদিকে যেমন শাসক দল বিজেপি (BJP) ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, অন্যদিকে কংগ্রেসও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে ফের একবার রাজ্যের দায়িত্ব সামলাতে আগ্রহী। নির্বাচনী ময়দানে নতুন খেলোয়াড় হিসাবে অংশ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিও। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। বুধবারই সেখানে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে আসেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেন, সুস্থির বিজেপি সরকার চাই নাকি ভারসাম্যহীন কংগ্রেস, তা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব গোয়ার সাধারণ মানুষেরই।
এদিন উত্তর গোয়ার বিচোলিম কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন অমিত শাহ। সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপি সরকারের সুশাসন ও ডবল ইঞ্জিন সরকারের উপযোগীতা তুলে ধরে ভোটের আবেদনও জানান। জনতার মন জয় করতে তিনি বলেন, “আমার মতে, গোয়র মানুষের কাছে দুটি পথই খোলা রয়েছে। একদিকে যেমন রয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত কংগ্রেস পার্টি, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীনের বিজেপি সরকার। কংগ্রেসের শাসন অস্থিরতা ও অরাজকতাতেই পরিপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে বিজেপির শাসনে রয়েছে স্থিতাবস্থা ও উন্নয়ন। এবার বিজেপি কর্মীরা গোয়ায় হাট্রিক করার জন্য লড়ছেন।”
তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে নাম না করেই কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “অনেক ছোট ছোট দল এখানে এসেছে। আমি আপনাদের বলতে চাই যে এই দলগুলির ইতিহাস রয়েছে। যেখানেই তারা ক্ষমতায় এসেছে, কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই শুরু করেছে। মোদীজী প্রকল্প পাঠাতেন, কিন্তু সেগুলির বাস্তবায়ন হয় না।”
পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ দিয়েই বলতে চাই, মোদীজী কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা অবধি চিকিৎসার প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত চালু করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু ওরা তা বাস্তবায়ন করেননি। কেন? কারণ এতে মোদীজী জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। ইচ্ছে করে তারা লড়াই শুরু করে। আজ, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।”
প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রকল্প এনেছিলেন মোদীজী। গোয়ার কৃষকরা সেই সুবিধা পেয়েছেন, কিন্তু বাংলার কৃষকরা সেই সুবিধা পাননি।”
বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্ত্রক পার্টি, যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে, তাদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এমজিপিকে ভোট দেওয়ার অর্থ হল তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। দয়া করে এই কাজ করবেন না।”
গোটা দেশ স্বাধীনতা পেলেও, গোয়াকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেতে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল, সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেক লড়াই ও আত্মত্যাগের পর গোয়া স্বাধীনতা পেয়েছে। গোয়াকে স্বাধীন হতে অনেকটাই সময় লেগেছে। গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। গোয়ার দেরীতে স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য কে দায়ী? ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে যদি জওহরলাল নেহেরু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, তবে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার পরই গোয়াও ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেত।”
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গোয়া সফরে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে তিনি গত মাসেই স্য়ানভোরদেম কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন।