Karnataka Election Results: ‘আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি’, বেলা বাড়তেই কী ফিকে হচ্ছে কুমারস্বামীর কিং-মেকার হওয়ার স্বপ্ন

Karnataka Election Results: প্রসঙ্গত, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২ হাজার ৬১৫ জন প্রার্থী। এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল গোটা রাজ্যে ৩০ থেকে ৩২টি আসন পেতে পারে জেডিএস।

Karnataka Election Results: ‘আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি’, বেলা বাড়তেই কী ফিকে হচ্ছে কুমারস্বামীর কিং-মেকার হওয়ার স্বপ্ন
এইচডি কুমারস্বামী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2023 | 12:48 PM

বেঙ্গালুরু: ম্যাজিক ফিগার ১১৩। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীরা। সেখানে বিজেপি (BJP) এগিয়ে ৭০টি আসনে। জনতা দল সেক্যুলার ২৪টি আসনে। অন্যান্যরা ৭টি আসনে। এদিকে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় (Exit Poll) ইঙ্গিত মিলেছিল কর্নাটকে (Karnataka) হতে পারে ত্রিশঙ্কু। সরকার গঠনে কিং-মেকারের ভূমিকায় উঠে আসতে পারে জেডিএস (JDS)। তাঁরাই যে কিং-মেকার হতে চলেছেন সে দাবি আগেই করে বসেছিলেন দলের সভাপতি দেবগৌড়া পুত্র এইচডি কুমারস্বামী। এমনকি শনির সকাল থেকে ধীরে ধীরে ফল প্রকাশ হতে সেই ইঙ্গিতই ক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে।  কিন্তু, বেলা বাড়তেই বদলে যায় চিত্রটা। সকলকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থানে সিদ্দারামাইয়ার দল। 

এরমধ্যেই খানিক যেন মন খারাপের সুর কুমারস্বামীর গলায়। সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা না হলেও এদিন দুপুরে তিনি স্পষ্টই জানালেন, কেউ এখনও যোগাযোগ করেনি তাঁর সঙ্গে। সরকার গঠনের জন্যও কোনও কথা বলেনি। যদিও দিনের শেষে খেলা খানিক ঘুরতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭, পরবর্তীতে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন কুমারস্বামী। 

প্রসঙ্গত, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২ হাজার ৬১৫ জন প্রার্থী। এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল গোটা রাজ্যে ৩০ থেকে ৩২টি আসন পেতে পারে জেডিএস। বিজেপি খানিক পিছিয়ে থাকলেও এমনকি কংগ্রেসের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া চাপের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে হাত সরকার গঠনে জেডিএসের হাত ধরা ছাড়া সিদ্দারামাইয়াদের আর কোনও উপায় থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছিল। 

যদিও দিন যত গড়াচ্ছে ততই ক্রমে ক্ষীণ হচ্ছে সেই সম্ভবনা। এদিকে কর্নাটকে কংগ্রেসের বিজয়রথ ক্রমেই এগিয়ে যাওয়ার পিছনে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী দক্ষিণী এই রাজ্যে পদ্ম শিবিরকে পিছনে ফেলতে ঝাপিয়ে ছিলেন সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো তাবড় তাবড় কংগ্রেসী নেতারা।