Farooq Abdullah: একাই লড়বেন আবদুল্লা, কাশ্মীরেও ধাক্কা, অস্তগামী ‘ইন্ডিয়া’ জোট
Farooq Abdullah: বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি), ফারুক আবদুল্লা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্ডিয়া জোটকে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, পিডিপির সঙ্গেও জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের। শুধু ইন্ডিয়া জোটে না থাকাই নয়, এদিন ফারুক আবদুল্লা এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
শ্রীনগর: ফের জোর ধাক্কা খেল ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেস। শ্রীনগরে যেদিন ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করেছিলেন, সেদিন রাহুল গান্ধীর পাশে দেখা গিয়েছিল ওমর আবদুল্লাকে। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবে না বলে জানিয়ে দিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি), ফারুক আবদুল্লা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্ডিয়া জোটকে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, পিডিপির সঙ্গেও জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের। শুধু ইন্ডিয়া জোটে না থাকাই নয়, এদিন ফারুক আবদুল্লা এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনেও ন্যাশনাল কনফারেন্স এককবাবেই লড়বে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে, একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন করা হতে পারে।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ফারুক আবদুল্লা বলেন, “আসন ভাগাভাগি নিয়ে বলতে চাই, ন্যাশনাল কনফারেন্স এককভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতেই লড়তে চাই। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোট করতে চাই না। ভবিষ্যতে এনডিএ-তেও যোগ দিতে পারি, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
#WATCH | Srinagar: On elections in J&K and seat sharing, National Conference Chief Farooq Abdullah says, "I think that elections in both states will be held with the Parliamentary elections. As far as seat sharing is concerned, NC will contest alone and there's no doubt about… pic.twitter.com/e2pLpX3YVB
— ANI (@ANI) February 15, 2024
গত মাস থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্ডিয়া জোট এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সে ফাটল দেখা যাচ্ছে। গত মাসে, জম্মু অঞ্চলের ন্যাশনাল কনফারেন্সের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফারুক আবদুল্লা এর আগে বলেছিলেন, ইন্ডিয়া জোটে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে কিছু বিরোধী দল আলাদাভাবে জোট গঠন করতে পারে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স তিনটি আসন জিতেছিল।
গত বছরের মাঝামাঝি বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরা আটকাতে, ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিল ২৭-২৮টি বিরোধী রাজনতিক দল। চালিকা শক্তি ছিল অবশ্যই কংগ্রেস। কিন্তু, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই প্রথম জোটের বাঁধন আলগা হতে শুরু করেছিল। জোট শরিকদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগই রাখেননি কংগ্রেস নেতারা। ভোটের ফলে কংগ্রেসের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে যেতেই, ইন্ডিয়া জোট প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে ভাঙছে।
বিহারে নীতীশ কুমার জোট ছেড়ে ফিরে গিয়েছেন এনডিএ-তে। উত্তর প্রদেশে আরএলডি ইন্ডিয়া ছেড়ে যোগ দিয়েছে এনডিএ-তে। চলতি মাসের শুরুতে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ঘোষণা করেছেন, সেই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধবে না আপ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা জানিয়েছেন। দিল্লিতে কংগ্রেসকে মাত্র একটি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে আপ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে তিন-তিনজন হেভিওয়েট নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফারুক আবদুল্লার এদিনের মন্তব্য ইন্ডিয়া জোটকে আরও হীনবল করে দেবে, তা বলাই বাহুল্য। ভোট পর্যন্ত এই জোটের অস্তিত্ব থাকবে তো, এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।