Punjab Assembly Election: ‘কেজরীবাল নীতি’র শরণাপন্ন কংগ্রেস? কোন্দল সামাল দিতে সেই সম্ভাবনাই জোরালো

Punjab Assembly Election: পঞ্জাবের জনগণের ওপর দলের মুখ্যমন্ত্রী মুখ বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে একটি বিশেষ ফোন নম্বর চালু করেছিল কেজরীবালের দল।

Punjab Assembly Election: 'কেজরীবাল নীতি'র শরণাপন্ন কংগ্রেস? কোন্দল সামাল দিতে সেই সম্ভাবনাই জোরালো
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 4:23 PM

চণ্ডীগঢ়: ফেব্রুয়ারি মাস পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনের (Punjab Assembly Election) মুখোমুখি হতে ৩ সপ্তাহ সময়ও নেই হাতে। এই অবস্থায় দলীয় কোন্দল সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে (Arvind Kejriwal) অনুসরণ করতে পারে কংগ্রেস? দলীয় স্তরে সেই জল্পনাই জোরালো হচ্ছে। পঞ্জাবে কংগ্রেস যথেষ্টই শক্তিশালী ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নাটকীয় ইস্তফার পর বিরোধী দলগুলির তুলনায় কংগ্রেসের সবথেকে বড় শত্রু কংগ্রেসই। কারণ দলীয় নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য যে চরমে পৌঁছে গিয়েছে, সেই বিষয়ে ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। দলীয় কোন্দল সামাল দিতে দাবি ওঠা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণায় নারাজ ছিল কংগ্রেস হাই কমান্ড। পরে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা নিয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেও এখনও কংগ্রেসের তরফে কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, মুখমন্ত্রী মুখ ঘোষণা নিয়ে আম আদমি পার্টির পদ্ধতিকেই অনুসরণ করে পারে কংগ্রেস।

পঞ্জাবের জনগণের ওপর দলের মুখ্যমন্ত্রী মুখ বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে একটি বিশেষ ফোন নম্বর চালু করেছিল কেজরীবালের দল। তাঁর দাবি সেই নম্বরে সাধারণ মানুষের থেকে আসা প্রতিক্রিয়াকে মান্যতা দিয়েই ভগবন্ত মানকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। এই পদ্ধতিকে অবলম্বন করেই দলের মুখ ঠিক করতে চাইছে দল, কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চালু করা হেল্পলাইন নম্বরে তিনটি বিকল্প থাকবে। প্রথমেই থাকবেই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির নাম, দ্বিতীয় স্থানে থাকবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর নাম এবং তৃতীয় বিকল্পে অন্যকোনও বিকল্পের কথা থাকবে। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় নম্বরে সুনীল ঝাকর, সুখজিন্দর রানধাওয়াদের মতো দাবিদারদের নামের অন্তর্ভুক্তি হবে না।

আম আদমি পার্টি যে পদ্ধতিতে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে বেছে নিয়েছিল, সেই প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। এই পদ্ধতি বেছে নিয়ে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে এই অভিযোগও করেছিলেন সিধু। এখনও তাঁর নিজের দল সেই পদ্ধতি অনুসরণ করলে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়বেন সিধু। পঞ্জাব কংগ্রেস প্রধানত দুটি শিবিরে বিভক্ত। এক শিবিরে মাথায় মুখ্যমন্ত্রী চন্নি এবং অন্যদিকে প্রদেশ সভাপতি সিধু। দুই শিবিরই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। আগে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করা হবে, যাতে বিরোধী শিবির দলের কোনও নেতাকে ভাঙিয়ে না নিতে পারে। সেই পদক্ষেপকেও গ্রহণ না করে জনগণের হাতে দায়িত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস। স্বল্প সময়ে দায়িত্ব নিয়েও জনমুখী বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নির জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। এখন কংগ্রেস কোন পথ বেছে নেয় সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন : Mallikarjun Kharge: ‘এতদিনে ১৫ কোটি চাকরি দেওয়ার কথা ছিল’, বাজেটের পরই মোদী সরকারকে তোপ খাড়গের