State Polls unlikely to be postponed: পিছোচ্ছে না ভোট, নির্দিষ্ট সময়েই হতে পারে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন
Election Commission of India: এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে পিছোচ্ছে না বিধানসভা নির্বাচন। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে।
নয়া দিল্লি : ওমিক্রন আতঙ্কের (Omicron Scare) জেরে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Polls) পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই সময় থেকেই একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল নির্বাচনকে ঘিরে। তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যোগীরাজ্যে যান কমিশনের প্রতিনিধি দলও। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে পিছোচ্ছে না বিধানসভা নির্বাচন। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুর, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
কী ভাবছে নির্বাচন কমিশন?
বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন করার যে কথা সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশন সেটিই মেনে চলতে পারে। গোয়া বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৫ মার্চ এবং মণিপুর বিধানসভার শেষ হচ্ছে মেয়াদ ১৯ মার্চ এবং উত্তর প্রদেশের বিধানসভার মেয়াদ ১৪ মে শেষ হবে। ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে নির্বাচন করানো যাবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে।
ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে করোনা টিকাকরণ এবং ওমিক্রন পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, সেখানে কঠোর কোভিড প্রোটোকলের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেছে বলে খবর।
কী বলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট?
এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে। বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একটি বেঞ্চ, এক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের জামিন আবেদন মঞ্জুর করার সময় বলে, “ওমিক্রন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করে এবং শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে নির্বাচনী সমাবেশে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আদালত সেই সঙ্গে আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, চিন, নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানির মতো দেশগুলি ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউনের পথে ফিরেছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই যোগী রাজ্যে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর, তিন দিন উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঠিক তার আগের দিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।