Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Municipal Election 2022: পঞ্চায়েতের ছায়া পুরভোটে! একের পর এক পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল

Municipal Election 2022: বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। একগুচ্ছ ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিতে পারেননি বিরোধীরা। ফলে, সে সব জায়গায় ইতিমধ্যেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।

Municipal Election 2022: পঞ্চায়েতের ছায়া পুরভোটে! একের পর এক পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল
তৃণমূলের হামলার অভিযোগ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2022 | 5:28 PM

কলকাতা : সকাল থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাটক চরমে পৌঁছয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও কোথাও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কোথাও মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, কোথাও বিরোধী দলের প্রার্থীরা রইলেন তালাবন্দি হয়ে। আর সেই মনোনয়ন জমা দেওয়া সময় পেরতেই দেখা গেল একের পর এক পুরসভা চলে আসছে তৃণমূলের হাতে। ইতিমধ্যে সাঁইথিয়া ও বজবজ পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল (TMC)। এ ছাড়া দিনহাটার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ঘাসফুল শিবিরের। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছায়া দেখছেন বিরোধীরা।

কোথায় কোথায় জয়

বজবজ- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। বিরোধীরা ১৩ টি ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। ম্যাজিক ফিগার পার করে যাওয়ায় পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল।

দিনহাটা- কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভায় ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। ১, ৩, ৭, ৯, ১৫, ১৬, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়নি কোনও বিরোধী দল।

সাঁইথিয়া- বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বাম প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছে। আর বাকি ১৩ টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  জয়ী তৃণমূল।

‘রাজ্যকে বিরোধী শূন্য করে দেওয়া হচ্ছে’

একের পর এক ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা শাসক দল জিতে যাওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা গণতন্ত্র, যেখানে বিরোধী শূন্য করে দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, একদিকে দেশকে বিরোধী শূন্য করে দিতে চান নরেন্দ্র মোদী, আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলেরও একই মনোভাব। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নরেন্দ্র মোদীর মনোভাব নিয়ে চলেন, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।’

‘সংশোধন তৃণমূলে হবে না’

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘তৃণমূলের বড় বড় নেতারা এবার বিধানসভা ভোটের আগে থেকে বলতে শুরু করেন, পঞ্চায়েতের সময় আমরা যে উস্কানি দিয়েছিলাম, তা ভুল হয়েছিল। আমরা তা সংশোধন করবে। সংশোধন যে তৃণমূলে হবে না, এটা যে গুণ্ডা-মস্তানদের দল, তা এবার প্রমাণ হল।’ তাঁর কথায়, ‘এ ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা বেশিদিন মানুষ সহ্য করবে না। তৃণমূলকে আগামিদিনে ভুগতে হবে।’

‘আমি চাই ভোট হোক’

বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, এতে ঘাসফুল শিবিরের কোনও দায় নেই, বিরোধীরাই প্রার্থী দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘ওরা যদি প্রার্থী না পায়, আমরা কী করব, তার দায়িত্ব তো তৃণমূল নিতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো কাউকে নিষেধ করিনি। মানুষ নমিনেশন দেবে, ভোট হবে। আমি চাই ভোট হোক। কিন্তু তাই বলে তো কাউকে বাড়ি থেকে ডেকে আনতে পারব না।’ বিজেপি- সিপিএম কারও কোনও সংগঠন নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, এ দিন সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে বিভ্রাটের ছবি সামনে এসেছে। বীরভূমে বিজেপি প্রার্থীদের তালাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা মহকুমা শাসকে অফিসের সামনে বিরোধীরা মনোনয় জমা দিতে গেলে তাঁদের হাত থেকে মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা