PM Modi In Tripura Highlights: ত্রিপুরায় চাঁদার জমানা ঘুচিয়েছে বিজেপি: মোদী

আগরতলা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ১৬ ফেব্রুয়ারি টিলার রাজ্যে ভোট গ্রহণ। তার আগে শাসক দল বিজেপি থেকে তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছে। ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রচার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবার নির্বাচনমুখী ত্রিপুরায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন ত্রিপুরার আম্বাসায় জনসভা করছেন তিনি। এই জনসভা থেকে কী বললেন তিনি দেখে নিন এক নজরে-

1. ১৬ ফেব্রুয়ারি কেবলমাত্র পদ্মফুলে ও আইপিএফটিকেই ভোট দেবেন: মোদী
2. বিজেপি যে জাতীয় শিক্ষানীতি এনেছে তাতে স্থানীয় ভাষাতেও ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে। এর ফলে আমার গরিব আদিবাসী জনজাতি ভাই বোনেদের ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে : মোদী
3. বাম, কংগ্রেস সরকার আদিবাসীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। বিজেপি ব্রু সমস্যার সমাধান করেছে। এই বাজেটেও ব্রু জনজাতিদের জন্য এক বিশেষ যোজনা করা হয়েছে : ত্রিপুরার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
4. দুঃশাসনের পুরনো খেলোয়াড়রা হাত মিলিয়েছে, কিছু অন্যান্য দলও পিছন থেকে তাদের সহায়তা করছে: মোদী
5. আর বিজেপি এমন প্রচেষ্টা চালিয়েছে যাতে ত্রিপুরাবাসীরা অসুস্থই না হন। যখন ঘরে নল থেকে জল যায়। প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হয়। উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস আসলে ঘরে আর উনুনের ধোঁয়া ওঠে না। তখন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা এমনিই কমে যায়: মোদী
6. কংগ্রেস আর বামপন্থীরা গরিবদের বিশ্বাস ভাঙতে জানে শুধু। তারা গরিবের চিন্তা কোনওদিন মুক্ত করতে পারেনি: মোদী
7. বামপন্থী ও কংগ্রেসের কুশাসনে ত্রিপুরাবাসীরা অনেক কষ্ট পেয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুবিধার অভাব। এখানে চিকিৎসার জন্য কোনও বড় হাসপাতাল ছিল না। থাকলেও সেই চিকিৎসার জন্য খরচের কথা ভাবতে হত আম জনতাকেই। তবে বিজেপি ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সুবিধার আয়ুষ্মান ভারত স্কিম নিয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালও তৈরি করেছি আমরা। স্বাধীনতার পর প্রথম ডেন্টাল কলেজ তৈরি করেছে বিজেপি : মোদী
8. বিজেপি সরকার ত্রিপুরাকে ত্রিশক্তি দিয়ে উন্নত করে তুলছে। এর মধ্যে প্রথম শক্তি হল আবাস, ত্রিপুরাবাসীকে পাকা ঘর। দ্বিতীয়, আরোগ্য, ত্রিপুরার মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা। তৃতীয়  শক্তি হল আয় বৃদ্ধি। এই ত্রিশক্তি ত্রিপুরার মানুষের জীবন সহজ করে তুলেছে: মোদী
9. গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরায় নতুন  বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য আমি আপনাদের মধ্যে এসেছিলাম: মোদী
10. অ্যাক্ট ইস্ট নীতি থেকে ত্রিপুরার অর্থনীতি লাভবান হবে, রাজ্য হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার: আম্বাসার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
11. ত্রিপুরায় গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি নয়া সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে: মোদী
12. মনে রাখবেন ১৬ ফেব্রয়ারি আপনারা বিজেপি ও তাঁদের জোটসঙ্গীদেরই ভোট দেবেন। আপনাদের এক একটি ভোটেই ত্রিপুরা বামপন্থীদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। এখন আপনাদের একটি ভোটেই রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ফিরবে। বামপন্থীদের সরকার থেকে দূরে রাখবে : মোদী
13. ত্রিপুরার জন্য এত ভাল সঙ্কল্পপত্র প্রকাশ করার জন্য আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও অন্যান্য বিধায়কদের অনেক অভিনন্দন জানাই: মোদী
14. বিজেপি সরকার ত্রিপুরার মানুষের আয় বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে। পিএম-কিষাণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে এই পরিমাণ বাড়ানো হবে। আমাদের শাসনামলে কৃষকরা এমএসপির সুফল পাচ্ছেন: ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
15. আগে ঢালাই জেলা দেশের সবথেকে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে একটি ছিল। তবে ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই জেলার বিকাশে নজর দিয়েছে। এর ফলে আজ ঢালাই দেশের ১১০ উন্নত জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে : মোদী
16. ত্রিপুরার গ্রামগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য ৫০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। আগরতলায় একটি নতুন বিমানবন্দরও নির্মিত হয়েছিল। অপটিক্যাল ফাইবার এবং ৪জি সংযোগ গ্রামে আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা এখন বৈশ্বিক হয়ে উঠছে। উত্তর-পূর্ব ও ত্রিপুরাকে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে আমরা জলপথ তৈরি করছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
17. বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার আবেদন মেনে তা কার্যকর করেছে। লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর বেতন বেড়েছে: মোদী
18. বিজেপি সরকার এই চাঁদার জমানা ঘুচিয়েছে: মোদী
19. আগে ঘরবাড়ি বানানো থেকে শুরু করে দোকান খোলা, সব কিছুতেই চাঁদা চাওয়া হত। গত তিন দশক ধরে এরা ত্রিপুরাবাসীদের লুঠ করার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছিলেন সবাইকে: মোদী
20. আজ বিজেপি সরকার ভয়, হিংসা থেকে ত্রিপুরাকে মুক্তি দিয়েছে : মোদী
21. ত্রিপুরায় উন্নয়নের এক নজির হল এই নির্বাচনও। এই ৫ বছরে ত্রিপুরায় নির্বাচন হলে শাসক দল ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পতাকা দেখা যায়। ৫ বছর আগে অন্য কোনও দলকে নিজেদের ঝান্ডা লাগাতে দেওয়া হত কি? ত্রিপুরার সব জায়গায় আগে কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক দলেরই দলীয় পতাকা লাগানোর অনুমতি ছিল। এটাই ছিল তাঁদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা। বাকি কারোর অন্য রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানোর সাহস ছিল না। আর কেউ যদি নিজেদের বাড়িতে পতাকা লাগাত তাঁর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হত : জনসভা থেকে বললেন মোদী
22. কয়েক দশক ধরে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের শাসন ত্রিপুরার উন্নয়নে বাধা হয়ে ছিল। বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় উন্নয়ন এনেছে। সহিংসতা এখন আর ত্রিপুরার পরিচয় নয়। ত্রিপুরার আম্বাসায় নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, বিজেপি রাজ্যকে ভয় ও সহিংসতা মুক্ত করেছে।
23. ডাবল  ইঞ্জিন সরকার গত ৫ বছরেই ত্রিপুরাকে বিকাশের পথে নিয়ে এসেছে: মোদী
24. বিজেপি সরকার চেষ্টা করেছে, যাতে ত্রিপুরা ও রাষ্ট্রের বিকাশে জনজাতি সমাজের যোগদান গোটা দেশ দেখে এবং জানে : মোদী
25. এর আগে ত্রিপুরার পুলিশ স্টেশনগুলি সিপিএম ক্যাডারদের দখলে ছিল। কিন্তু এখন বিজেপির শাসনামলে রাজ্যে আইনের শাসন চলছে। আগে কেবলমাত্র বামপন্থী ক্যাডারদেরই সরকারি সুবিধার লাভ মিলত। এখন ত্রিপুরায় সকলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। রাজ্যে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে এবং জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে: ত্রিপুরার আম্বাসায় একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
26. ত্রিপুরার এই মহল বলে দিচ্ছে, ত্রিপুরাবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন, এখানে বিকাশের ডবল ইঞ্জিন থামবে না। তাই ত্রিপুরায় কোণা কোণায় একটাই আওয়াজ উঠছে। ফের একবার ডাবল ইঞ্জিন সরকার : মোদী
27. বক্তৃতা শুরুর আগে এ দিন উপস্থিত জনতাকে ‘নমস্কার’ বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।